প্রাক্তন পুলিশ কর্তা আইপিএস আধিকারিক এসএমএইচ মির্জাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ফলে তিনিই হলেন নারদ কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। ফলে সারদা, রোজভ্যালির পর এবার নারদ কাণ্ডেও রাজ্যে ধরপাকড় শুরু করল সিবিআই। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এদিন গ্রেফতারির পর মির্জাকে পেশ করা হয়। সেখানে আদালত তাঁকে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
নারদ নিউজ পোর্টালের ক্লিপে এসএমএইচ মির্জাকে ৫ লক্ষ টাকা নিতে দেখা গেছে। এর আগেও নারদ কাণ্ডে একাধিকবার এসএমএইচ মির্জাকে সিবিআই ডেকে পাঠিয়ে জেরা করেছে। এদিন তাঁকে জেরার পর গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই আইনজীবীর দাবি, মির্জা তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। সত্য গোপন করছেন। চেপে যাচ্ছেন। অন্যদিকে এসএমএইচ মির্জার আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক ছিলেন। তাই তাঁর পালানোর প্রশ্ন নেই। তাছাড়া সিবিআই আগে ৯ বার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে। তদন্তে সাহায্য করতে প্রতিবারই সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি হাজির হয়েছেন। তারপরও গ্রেফতারি নিষ্প্রয়োজন ছিল।
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে নারদ কাণ্ডের সময় এসএমএইচ মির্জা বর্ধমানের পুলিশ সুপার ছিলেন। সেসময় নারদ ফুটেজে মির্জা ছাড়াও বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার ছবি দেখা যায়। যাঁদের কয়েকজন এখন বিজেপিতে। সেখানে টাকা লেনদেনের ছবি ধরা পড়ে। টাকার বিনিময়ে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথোপকথন ধরা পড়ে। যা এখন তদন্তাধীন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা