ওরা যা পারেনি তা তাঁকে করতে দেখে হীনমন্যতায় ভুগছে কংগ্রেস। ৬০ বছরে কংগ্রেস যে জঞ্জাল তৈরি করেছে তা সাফ করতে হচ্ছে তাঁর সরকারকে। সরকারের কাজ করার এই চেষ্টা দেখে আতঙ্কে সংসদ স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। এদিন লোকসভায় জবাবি ভাষণে এভাবেই কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বক্তব্যের রেশ টেনে বিরোধীদের কাছে সংসদ চালু রাখারও আবেদন জানান মোদী। আর্জির সুরেই মোদী বলেন, সংসদে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে মতবিরোধ হতেই পারে। কিন্তু তাকে কেন্দ্র করে সংসদের কাজ বন্ধ হওয়া উচিত নয়। এদিনের ভাষণে নিজস্ব ভঙ্গিতেই পরতে পরতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী সরকারকে গরীব বিরোধী তকমা দেওয়ায় এদিন কংগ্রেসকে একহাত নেন তিনি।
মোদীর দাবি দেশে দারিদ্রের বীজ বপন হয়েছিল কংগ্রেসের হাত ধরে। এখন সেই দারিদ্রের মূল এত গভীরে পৌঁছেছে যে তা উপড়ে ফেলতে গেলে তাঁকেই উপড়ে যেতে হবে। এদিন ভাষণে রাহুল গান্ধীর নাম না করে তাঁকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মোদী। গত বুধবার মোদী সরকার কালো টাকা ফেরানোয় তেমন উৎসাহ দেখাচ্ছে না বলে সংসেদ তোপ দাগেন রাহুল। তার উত্তরে এদিন রাহুল হীনমন্যতায় ভুগছেন বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এদিকে রাজীব গান্ধী বলেই নয়, ইন্দিরা গান্ধীর করা একটি উক্তিও এদিন লোকসভায় তুলে ধরেন মোদী। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী দেশকে দুর্বল হিসাবে তুলে ধরা উচিত নয় বলে জানিয়েছিলেন। সে কথা মাথায় রাখার জন্য বিরোধীদের কাছে আর্জি জানান মোদী। এদিন কংগ্রেসকে আক্রমণের পাশাপাশি তাঁর সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলিও সংসদে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।