দিল্লির কালকাজি থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন। ১২.৬৪ কিলোমিটার পথে মেট্রো পরিষেবার ম্যাজেন্টা লাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কদিন আগেই এই লাইনে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেন মেট্রোর দেওয়ার ভেঙে বেরিয়ে আসে রাজপথের কাছে। আতঙ্ক ছড়ায়। প্রশ্ন ওঠে চালকহীন এই মেট্রো পরিষেবা চালানোর মত পরিকাঠামো সত্যিই তৈরি তো? এমনকি বড়দিনের সকালে প্রধানমন্ত্রী আদৌ ওই ঘটনার পর মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করবেন কিনা তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। অবশ্য সেদিনের দুর্ঘটনা যে পূর্বসূচিতে কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি তা বড়দিনের সকালেই পরিস্কার হয়ে গেল। প্রতিবেশি রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে পাশে নিয়ে দিল্লির এই চালকহীন মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। বাদ গেলেন খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁকে নিমন্ত্রণই জানানো হল না দিল্লির বুকে শুরু হতে চলা এই মেট্রো পরিষেবায়।
কালকাজি থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন। এই যাত্রাপথে থাকছে ৯টি স্টেশন। এই রুট অতিক্রম করতে এতদিন মেট্রোর ব্লু ও ভায়োলেট লাইন হয়ে দুবার ট্রেন বদলে পৌঁছতে হত গন্তব্যে। সময় লাগত ৫২ মিনিট। সেখানে ম্যাজেন্টা লাইনে সময় কমে লাগবে মাত্র ১৯ মিনিট। স্বভাবতই এই পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি দিল্লিবাসী। তবে চালকহীন ট্রেনে নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে তাঁদের মানসিক প্রস্তুতি নিতে হয়তো আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
(প্রধানমন্ত্রীর ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – নরেন্দ্র মোদী)