National

সংসদে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে ‘অলআউট’ আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী

দেশ ভাগের জন্য এদিন কংগ্রেসকে খোলাখুলি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নাম করলেন না। কিন্তু বলতেও কিছু বাকি রাখলেন না। দেশ ভাগের কুফল আজও দেশবাসীকে ভোগ করতে হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসকে পরামর্শের সুরেই তিনি জানান, দেশভাগে রাজনীতি করবেননা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল প্রধানমন্ত্রী হলে দেশভাগের দিন দেখতে হতনা বলে এদিন দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বুঝিয়ে দেন, সেদিন কারসাজি করেই বল্লভভাই প্যাটেলকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া হয়নি। সংসদে জবাবি ভাষণে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নিশানায় ছিল কেবল কংগ্রেস। অন্যদিকে তাঁর বক্তব্যের মাঝে ক্রমাগত হট্টগোল চালিয়ে যান কংগ্রেস সহ বিরোধী সাংসদরা। এমনকি এদিন বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দেয় এনডিএ শরিক টিডিপি-ও।

প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও দাবি করেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের উন্নতির অনেক সুযোগ ছিল। কিন্তু কংগ্রেস তা করেনি। শুরুর দিন থেকে দেশের উন্নতির চেষ্টা করলে আজ দেশের এই অবস্থা হতনা বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। আর এজন্য কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি। এমনকি ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে গণতান্ত্রিক অধিকার কংগ্রেসই খর্ব করেছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময়ে একের পর এক রাজ্য সরকার ভেঙে দিয়ে কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল বলে এদিন সোচ্চার হন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, দেশে কংগ্রেস বা নেহেরু গণতন্ত্র আনেননি। উদাহরণ তুলে ধরে তিনি জানান ভারতে গণতন্ত্র দ্বাদশ শতাব্দীতেও বজায় ছিল। ছিল মহিলাদের সমানাধিকার। বরং কংগ্রেস চিরকাল একটি মাত্র পরিবারের গুণগান করতেই দিন কাটিয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নিশানা যে গান্ধী পরিবার ছিল তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।


দেড় ঘণ্টার বক্তব্যে এদিন প্রধানমন্ত্রীর সুর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্তই ছিল কড়া ভাষায় কংগ্রেসের কাছে জবাব চাওয়ার ভঙ্গিমায়। এদিন তিন তালাক নিয়েও সুর সপ্তমে ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সরাসরি কংগ্রেসকে নিশানা করে তাঁর প্রশ্ন, গত ৩০ বছরে কেন কংগ্রেস ৩ তালাক আইন করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি? তখন কি তবে ভোটব্যাঙ্ক হারানোর ভয় কাজ করেছে? আর আজ যখন তাঁর সরকার মুসলিম মহিলাদের সেই সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে, কেন কংগ্রেস তা রাজ্যসভায় আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে?

এদিন কংগ্রেসকে তুলোধোনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে শুরু করে তাঁর সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন নরেন্দ্র মোদী। দাবি করেন, উন্নয়নের প্রশ্নে কোনও দল দেখেননা তিনি। উন্নয়ন হলে যে কোনও রাজ্য সরকারের তারিফ করতেও পিছপা হননি। সে রাজ্যে বিজেপি শাসন না থাকলেও।


(ছবি – সৌজন্যে – লোকসভা টিভি)

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button