কৃষকরা চাষের জন্য যে যে লগ্নি করবেন তার সবকিছু ন্যূনতম সহায়ক মূল্য স্থির করার সময় বিবেচনা করা হবে। এমএসপি নির্ধারণের সময়ে কৃষকের লগ্নি হিসাবে যুক্ত হবে তাঁর শ্রমও। এর সবকিছু হিসাব করে তার দেড় গুণ করা হবে তাঁর উৎপাদনের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য। দেশের কৃষকদের উন্নতির কথা মাথায় রেখে সরকার বাজেটে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার ছিল চলতি মাসের শেষ রবিবার। আর মাসের শেষ রবিবার মানেই প্রধানমন্ত্রীর মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান মন কি বাত। তাতেই এদিন কৃষকদের জন্য এমনই তথ্য সামনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
হালে মহারাষ্ট্রে বামপন্থী কৃষক আন্দোলন লং মার্চের চেহারা নিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কৃষকদের শক্তি। সেইসঙ্গে নাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের টনক। বেগতিক বুঝে মহারাষ্ট্র সরকারকেও তাঁদের অধিকাংশ চাহিদা মিটিয়ে দিতে হয়েছে। সেই তেতে ওঠা কৃষক আন্দোলন যাতে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে না পড়তে পারে সেকথা এদিন তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে মাথায় রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া কৃষকরা যাতে ঠিকঠাক লাভের গুড় ঘরে তুলতে পারেন সেদিকেও জোর দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন দেশ জুড়ে ২২ হাজার গ্রামের হাট-কে এগ্রিকালচারাল প্রডিউস মার্কেট কমিটির আওতায় আনা হবে। যাতে কৃষকদের তাঁদের উৎপাদিত ফসল আর বাইরে বিক্রি করতে যেতে না হয়।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সংবিধান প্রণেতা বিআর আম্বেদকর সবসময় ভারতের পরিকাঠামোগত উন্নতির ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁর সরকার দেশের আর্থিক উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে সেই লক্ষ্যপূরণের চেষ্টা করছে।
বাজেটে স্বাস্থ্য পরিষেবায় জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার সঙ্গে যোগাসনকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার বার্তা দেন। সারা দেশের তরুণ প্রজন্মকে ‘ফিট ইন্ডিয়া’-র শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।