মেদিনীপুরে কৃষক কল্যাণ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন তাঁর পরিচিত মেজাজেই ধরা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একের পর এক ইস্যুকে সামনে রেখে বিঁধলেন রাজ্য সরকার থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
প্রধানমন্ত্রী আসছেন। তার আগেই ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে কেন্দ্র করে তাঁরই যাতায়াতের পথ মুখ্যমন্ত্রীর ফেস্টুন, ব্যানার, বক্সে ভরিয়ে ফেলেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। সবেতেই ছিল হাসিমুখে জোর হাতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। কিন্তু এই চাপের কৌশলকে পাল্টা অস্ত্র করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। কারণ তিনি আসবেন বলে তাঁর আসা যাওয়ার পথ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর করজোড় করা ছবিতে ভরিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে এই সম্মান দেখানোর জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।
কলেজে ভর্তি থেকে বাড়ি তৈরি সব ক্ষেত্রেই রাজ্যে সিন্ডিকেটের দাপট রয়েছে। সিন্ডিকেটের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই হবেনা। কিছু করতে গেলে সিন্ডিকেটই শেষ কথা। এদিন এমনই দাবি করে ফের সিন্ডিকেট বিতর্ক উস্কে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, মানুষ বামেদের সরিয়ে তৃণমূলকে এনেছিল। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এই অবস্থায় মানুষকে আর কয়েক মাস ধৈর্য ধরতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, তারপরই বদলে যাবে ছবি। ত্রিপুরা পেরে থাকলে এ রাজ্যের মানুষও বদলাতে পারবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনও এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জায়গা পেয়েছে। তাঁর দাবি আতঙ্কের পরিবেশে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। সেই অবস্থাতেও বিজেপি কর্মীরা লড়াই করেছেন।