বারাণসীর প্রধান আকর্ষণই হল বিশ্বনাথ মন্দির। সারা বছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী এই মন্দিরে হাজির হন। বারাণসী আবার প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রও বটে। শুক্রবার তাঁর কেন্দ্রে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী। এদিন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের সৌন্দর্যায়ন ও বিস্তার প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৪ পর্যায়ে এই পুরো কাজ শেষ হবে। তার প্রথম পর্যায়ের কাজ খুব দ্রুতই শুরু হচ্ছে।
এদিন সেই কাজ শুরুর জন্য কাশী বিশ্বনাথের নামাঙ্কিত ইট গেঁথে কাজের আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়েক, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রধানমন্ত্রী শিলান্যাসের পর জানান, এই এলাকা খুব শীঘ্রই ভিড়মুক্ত ও সুশৃঙ্খল স্থানে পরিণত হবে। প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে পুণ্যার্থীদের মন্দিরে আর কোনও সমস্যা হবে না। ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্পের এদিন শুভসূচনা হয়। আপাতত প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে। ধাপে ধাপে বাকি পর্যায়ের কাজ শেষ হবে। ৪০ হাজার বর্গফুটের একটি ঝকঝকে করিডর তৈরি করা হবে। যা সুন্দর করে সাজানোও হবে।
শুক্রবার সকালে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে বারাণসীর লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বিমানবন্দরে অবতরণ প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়েক, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের নতুন প্রকল্প তৈরির জন্য অনেককে তাঁদের বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। ওই জায়গা ফাঁকা করে দিতে হয়েছে। যাঁরা বাড়ি ছেড়ে এই প্রকল্পের জন্য অন্যত্র সরে গেছেন তাঁদেরও জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)