শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার মেডিক্যাল কাওয়াখালি মাঠে বুধবার প্রথম জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন বেলা ১টা নাগাদ। তারপর সেখান থেকে পৌঁছন জনসভায়। এটাই ছিল লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর প্রথম সভা। আর সেই সেই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উন্নয়নের ‘স্পিডব্রেকার’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। মোদী এদিন দাবি করেন, রাজ্যে তিনি আরও উন্নতি করতে পারতেন যদি ‘মমতা দিদি’ বাধা না দিতেন। উন্নয়নের স্পিডব্রেকার বলে মমতাকে ব্যাখ্যা করে মোদী বলেন, রাজ্যে দারিদ্র রেখে দিতে চাইছে তৃণমূল সরকার।
নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, রাজ্য থেকে দারিদ্রের অবসান হলে তৃণমূলের রাজনীতিও শেষ হয়ে যাবে। তৃণমূল যেভাবে রাজ্যে দারিদ্র বাঁচিয়ে রাখতে চায় সেভাবেই দারিদ্র বাঁচাতে চায় কংগ্রেস ও বামেরাও। এদিন চিটফান্ড দুর্নীতি নিয়েও তৃণমূল সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি মোদী। তাঁর গলায় উঠে এসেছে রাজ্যে এনআরসি নিয়ে আশ্বাস। সেইসঙ্গে এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির তুরুপের তাস পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে পাকিস্তানের মতই দুখী তৃণমূল নেত্রী সহ দেশের অন্য অনেক বিরোধী দল।
নরেন্দ্র মোদীর জনসভা ঘিরে এদিন সকাল থেকেই সাজ সাজ রব ছিল মাটিগাড়ায়। বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে এখানে হাজির হন। অনেকের মুখে ছিল মোদী মুখোশ। হাতে ছিল বিজেপির পতাকা। বিজেপির টুপি ছিল অনেকের মাথায়। এদিনের সভায় মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল নজরকাড়া। এখানে ২টো নাগাদ বক্তব্য শেষ করেন নরেন্দ্র মোদী। তারপর রওনা দেন ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে।