রাজনীতিতে পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে বুঝতে পারলে রাজনৈতিক নেতাদের কী অবস্থা হয় তা দিদিকে দেখলে বোঝা যায়। তিনি এতটাই ভয় পেয়েছেন যে এখন রাগ উগরে দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের ওপর। রবিবার সকালে কোচবিহারের রাসলীলা ময়দানের জনসভা থেকে এভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী এদিন শুরু থেকেই কড়া আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেন। রাজ্যে পিসি-ভাইপোর সরকার চলছে বলে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, পিসি-ভাইপোর রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের সুবিধা করা হচ্ছে, রাজ্যে গুণ্ডারাজ তৈরি হয়েছে, তোলাবাজদের রমরমা বেড়েছে।
কোচবিহারে এদিন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনগণের উপস্থিতি ছিল যথেষ্টই। নজর কেড়েছে নতুন প্রজন্মের বিশাল উপস্থিতি। এদিন জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন এক সময়ে সরকার জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে মারতে ভয়ে কাঁপত। এখন জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে তাদের নিকেশ করা হচ্ছে। ভারত এখন মহাকাশেও মহাশক্তি হয়েছে। যদিও এটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভাল লাগছে না বলে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন রাজনৈতিক জমি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন। তাই সারাক্ষণ মোদী হঠাও মন্ত্র বলে যাচ্ছেন।
দেশে মা সারদার নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে নেওয়া হয়। আর বাংলায় সেই সারদার নামে কেলেঙ্কারি, নারদ মুনির ৩ লোকেই উপস্থিতি। সেই নারদ মুনি শ্রদ্ধা হারিয়ে এখানে নারদা কেলেঙ্কারি। রোজ বললে মানুষের গোলাপের কথা মনে পড়ে। কিন্তু এ রাজ্যে গরীব মানুষ রোজ শুনলে ভয়ে কাঁটা হয়ে যান। এসব কেলেঙ্কারির টাকা যাদের পকেটে ঢুকেছে তাদের ছাড়া হবে না। কোচবিহারের সভা থেকে এদিন আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
একের পর এক আক্রমণ, খোঁচা। এদিনও মুখ্যমন্ত্রীকে স্পিডব্রেকার বলে কটাক্ষ। প্রচারের মঞ্চ থেকে কিছুই এদিন বাদ দেননি নরেন্দ্র মোদী। উত্তরবঙ্গে ১ সপ্তাহের মধ্যে ২টি সভা করলেন তিনি। তবে কী রাজ্যে বিজেপি উত্তরবঙ্গ নিয়ে বেশি আশাবাদী। এদিন সভার শেষে ২ প্রার্থীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হাত তুললেন। তাঁদের সঙ্গে হাসি মুখে হাত মেলালেন তাতে রাজনৈতিক মহলের ধারণা উত্তরবঙ্গ থেকে জেতার বিষয়ে বেশি আশাবাদী বিজেপি।