নাম নিলেন না কারও। কিন্তু কথার মারপ্যাঁচে স্পষ্ট করে দিলেন নিশানা। এদিন মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রতিবেশি পাকিস্তান থেকে চিন, এমনকি খোদ মার্কিন মুলুককেও ছেড়ে কথা বললেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাকিস্তান রাজনৈতিক সুবিধা চরিতার্থ করতে সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
ভারতের পশ্চিম সীমান্ত থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত লস্কর-ই-তৈবা, তালিবান বা আইএস-এর মত নানা নামে ছড়িয়ে রয়েছে সন্ত্রাসবাদের জাল। যারা কেবল বোঝে হিংসা আর হত্যা। দুনিয়া থেকে এদের মুছে ফেলতে সকলে একজোট হয়ে লড়ার আহ্বান জানান মোদী। যারা এদের মদত দিচ্ছে তাদেরও কোণঠাসা করে ফেলার ডাক দেন তিনি।
সন্ত্রাসবাদের ভাল, খারাপ হয় না বলে জানিয়ে আদপে মার্কিন মুলুককেই এদিন একটা বার্তা দিলেন মোদী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁর দীর্ঘ বক্তৃতায় সন্ত্রাসবাদের পাশাপাশি দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার বিরুদ্ধেও এদিন মুখ খোলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তবে চিনের নাম মুখে আনেননি তিনি।
মোদীর বক্তব্য, সমুদ্রপথে বিনাবাধায় বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিশ্বাস করে ভারত। ভাষণ শুরুর আগে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
২০০৫-এ মনমোহন সিংয়ের পর ১১ বছরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসে পা রাখেননি। ১১ বছর পর এদিন ফের বক্তব্য রাখলেন নরেন্দ্র মোদী। আর আত্মপ্রকাশেই বাজিমাত।
কথা বলার নিজস্ব ভঙ্গিমায় দেশবাসীকে এতদিন মোহিত করে এসেছেন মোদী। এদিন সেই একই ক্যারিশ্মার যাদুতে বাকরুদ্ধ হয়ে একটানা মোদীর বক্তব্য মন দিয়ে শুনলেন মার্কিন কংগ্রেসের দুঁদে রাজনীতিবিদরা।