ফণীর ছোবলে কার্যত তছনছ হয়ে গেছে গোটা ওড়িশা। এখনও প্রশাসন বুঝে উঠতে পারছে না এই ধ্বংসলীলা থেকে কীভাবে দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা যায়। এদিকে মানুষের মধ্যে ক্রমে ক্ষোভ বাড়ছে। বিদ্যুৎ নেই। পানিয় জল নেই। মোবাইল যোগাযোগ নেই। এই অবস্থায় তাঁরা কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন। সেখানে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না করলে ক্ষোভ বাড়বেই।
আবার সরকারেরও একটা ক্ষমতা আছে। তার বাইরে উদ্ধার ও পুনর্গঠনের কাজ এগোনো মুশকিল। এই অবস্থায় ওড়িশার জন্য আরও ১ হাজার কোটি টাকার সাহায্যে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফণী আসার আগেই কেন্দ্র ওড়িশা সরকারকে ৩৮১ কোটি টাকা দিয়েছিল। ফণীর পরিস্থিতি বিবেচনা করে এদিন আরও ১ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করলেন প্রধানমন্ত্রী।
ওড়িশা সরকারকে ফণী পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্র ও ওড়িশা সরকারের মধ্যে ফণী মোকাবিলায় তালমিলও খুব ভাল রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। কেন্দ্রের থেকে একটি দলও ওড়িশায় ফণী বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখে সেখানে হওয়া ক্ষতির একটি হিসাব করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
ফণীর তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত ওড়িশায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে পুরী জেলাতেই। এই অবস্থায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও এদিন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তাঁর দাবি, ওড়িশার আমজনতা সরকারের নির্দেশ মান্য করে চলায় সেখানে ফণী থেকে ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। না হলে যা হয়েছে তারচেয়ে অনেক ক্ষতিকর হতে পারত ফণীর প্রভাব। সোমবার বিজু পট্টনায়েক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে ফণী বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা