ফণী নিয়ে কথা বলতে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রথমে একবার ফোন করেন। কিন্তু তিনি সেই ফোন ধরেননি। মনে করেছিলেন হয়ত রিং ব্যাক করবেন। তাও করেননি। বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষার পর ফের দ্বিতীয়বার ফোন করেন তিনি। কিন্তু সেই ফোনও মুখ্যমন্ত্রী ধরেননি। সোমবার তমলুকের সভা থেকে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তিনি ফণীর পর পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে ফোন করেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সাইক্লোন নিয়েও রাজনীতি করছেন। তাই তাঁর ফোন ধরেননি।
প্রধানমন্ত্রী এদিন ফের একবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে স্পিড ব্রেকার দিদি বলে সম্বোধন করেন। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবল অহংকারে ভুগছেন। তাই তিনি তাঁর ফোনও রিসিভ করেননা। রাজ্যের মানুষের ওপর রাজনীতিকে জায়গা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণের পথে হাঁটেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ফোনের দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, ফণীর মোকাবিলা রাজ্য নিজেই করতে পারবে। তার জন্য কারও সাহায্য লাগবে না। এদিন পাল্টা তিনি নরেন্দ্র মোদীকে এক্সপায়ারি প্রাইম মিনিস্টার বলে কটাক্ষ করেন।