সময়টা ১৯৮৭-৮৮। সেসময় গুজরাটের ভিরামগাম নামে জায়গায় একটি জনসভা করছিলেন বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। সেই জনসভায় হাজির ছিলেন তিনি। ভারতে তখন খুব কম মানুষের হাতেই ডিজিটাল ক্যামেরা ছিল। তাঁর নিজের একটি ডিজিটাল ক্যামেরা সেসময় ছিল। সেই ক্যামেরায় একটি ছবি তোলেন তিনি। তারপর সেই ছবি ই-মেল মারফত পাঠিয়ে দেন দিল্লিতে। সেখান থেকে পরদিন সেই রঙিন ছবি প্রকাশিত হয়। যা দেখে স্বয়ং আডবাণীজি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। একটি সংবাদমাধ্যমে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমনই দাবি করেন। আর সেই বক্তব্য তারপরই হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে। আছড়ে পড়তে থাকে কটাক্ষ।
কেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে এত কটাক্ষের বন্যা? বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা থেকে সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সকলেই মুখ খুলেছেন। ৮০-র দশকে ডিজিটাল ক্যামেরার ব্যবহার সেভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়েই পড়েনি। আর ই-মেল পরিষেবা সাধারণের জন্য চালু হয় ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে। তাহলে ১৯৮৭-৮৮ সালে নরেন্দ্র মোদী কীভাবেই বা ডিজিটাল ক্যামেরা পেলেন আর কীভাবেই বা তাঁর ব্যক্তিগত একটি ই-মেল অ্যাড্রেস ছিল? কারণ ১৯৮৭-৮৮ সালে তো ভারতে ডিজিটাল ক্যামেরা আসেইনি। আর ই-মেল পরিষেবাই তখন চালু হয়নি! কংগ্রেস থেকে সিপিএম ও অন্য দলের নেতারা এই নিয়ে রীতিমত ঠাট্টা শুরু করে দিয়েছেন। কংগ্রেস তো প্রশ্নই করেছে যে কেউ কী আন্দাজ করতে পারেন সে সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ই-মেল অ্যাড্রেসটা ঠিক কী ছিল?
সুইডেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অশোক সাঁইন ট্যুইট করে প্রশ্ন তোলেন ১৯৯৩ সালে সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথম ব্যক্তিগত ই-মেল অ্যাড্রেস চালু হয়। সেখানে ১৯৮৮ সালে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে ই-মেল অ্যাড্রেস পেলেন তা নিয়ে হতবাক তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা