বিগত ৫ বছরের শাসনকালে কখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সাংবাদিক সম্মেলনে দেখতে পাওয়া যায়নি। অবশেষে এলেন। সাংবাদিকদের সামনে এলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির রইলেন। নিজের কথা বললেন। কিন্তু সাংবাদিকদের পুরনো খেদটা রয়েই গেল। এবার সামনে এলেও সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দিলেন না তিনি। উত্তরের দায়িত্ব ঠেলে দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-র দিকে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য আসা প্রশ্ন নিজের দিকে নিজেই টেনে নিলেন অমিত শাহ। ফলে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করে কোনও উত্তর তাঁর মুখ থেকে এবারও পেলেন না সাংবাদিকরা।
শুক্রবার ছিল দেশজুড়ে শেষ দফার আগে শেষ প্রচার। যদিও বাংলায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টাতেই শেষ হয়েছে প্রচার। তবে অন্য রাজ্যে এদিন বিকেলে শেষ হয় প্রচার অভিযান। এরপর ১৯ মে ভোট। আর ২৩ মে ভোটের ফল প্রকাশ। তার আগে এদিন প্রচারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার ঠিক আগে মধ্যপ্রদেশে সভা সেরে সোজা দিল্লিতে দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
অমিত শাহ এদিন অনেকটাই তাঁদের প্রচারের হিসাব তুলে ধরেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মাইক নেন। এদিন দলের সাংগঠনিক দিক, পরিকল্পনা করে পদক্ষেপ স্থির করার মত বিষয়গুলি তুলে ধরেন তিনি। পুরনো স্মৃতি ফিরিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার অভ্যাসের কথা তুলে ধরেন। দাবি করেন এবারও দেশে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন হবে। অবশেষে দেশবাসী ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনেকেরই মনে হয়েছিল এরপর প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন তাঁরা। প্রশ্ন করেনও। কিন্তু তার উত্তর প্রধানমন্ত্রী দেননি। বরং সেই উত্তর দেন অমিত শাহ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা