ভোটপ্রচার শেষ। রবিবার ভোটগ্রহণ। তাঁর কেন্দ্রেও ওদিনই ভোটগ্রহণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার আগের দিন অর্থাৎ শনিবার সকালেই হাজির হলেন কেদারনাথ মন্দিরে। প্রথমে তিনি বিশেষ বিমানে হাজির হন দেরাদুনের জলি গ্র্যান্ট বিমানবন্দরে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দেন কেদারনাথ মন্দিরের উদ্দেশে। তাঁর পরনে ছিল ধূসর রঙের স্যুট, কোমরে জড়ানো ছিল গেরুয়া গামছা, মাথায় ছিল পাহাড়ি টুপি। গাড়োয়াল হিমালয়ের ১১ হাজার ৭৫৫ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কেদারনাথ মন্দিরের কাছে হেলিকপ্টার থেকে নেমে প্রধানমন্ত্রী সোজা হাজির হন মন্দিরে। সেখানে শিবের বিশেষ পূজা দেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার পুজোর পর কেদারনাথ চত্বরও ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৩ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেদারনাথ মন্দিরের প্রভূত ক্ষতি হয়। তার সারাইয়ের কাজ এখনও চলছে। সেই কাজ কেমন এগোচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। গত ২ বছরে এই নিয়ে ৪ বার কেদারনাথ মন্দিরে এলেন তিনি। গত বছর দীপাবলির দিন এসেছিলেন মন্দিরে। তারপর এদিন এলেন। মাঝে অবশ্য শীতের জন্য ৬ মাস বন্ধ ছিল কেদারনাথের দরজা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে শনিবার ভোর থেকেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয় কেদারনাথ চত্বর। এখানেই সারারাত কাটাবেন তিনি। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে এতটুকু খামতি রাখেননি নিরাপত্তায় নিযুক্ত আধিকারিকরা। রাত কেদারনাথেই কাটিয়ে রবিবার সকালে তিনি উড়ে যাবে বদ্রীনাথের উদ্দেশে। রবিবার বদ্রীনাথে পুজো দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি সেখান থেকে দিল্লি ফিরে যাবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা