২০১৯ নির্বাচনেও ২০১৪-র মত বারাণসী কেন্দ্র থেকে লড়ছেন নরেন্দ্র মোদী। সেই বারাণসী কেন্দ্রে ভোট ছিল রবিবার। ভোটগ্রহণ চালু হয় সকালে। আর সেই সময় যখন অন্য প্রার্থীরা বুথে বুথে বা নিজের কেন্দ্রে বসে ছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাজির ছিলেন বদ্রীনাথ মন্দিরে। গত শনিবার সকালেই তিনি কেদারনাথ মন্দিরে পৌঁছন। সেখানে পুজো দেন। কেদারনাথেই তিনি সারাদিনটা কাটান। কাটান রাতও। তারপর রবিবার সকালে কেদারনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন বদ্রীনাথের বিষ্ণু মন্দিরে।
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় পাহাড়ে ওপর ১০ হাজার ১৭০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত বদ্রীনাথ মন্দিরে নরেন্দ্র মোদী যখন পুজো দেন তখন চারিদিক থেকে পুরোহিতরা বৈদিক শ্লোক উচ্চারণ করছিলেন। পুজো দেওয়ার পর মন্দিরের বাইরে এসে অন্য আগত ভক্তদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানান তিনি। এদিকে কেদারনাথে রাত কাটানোকালীন নরেন্দ্র মোদী একটি গুহায় ধ্যানও করেন। তবে গুহাটি বিশেষভাবে তাঁর জন্য প্রস্তুত করা হয়। সেখানে সিসিটিভি, টয়লেট, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সুবিধার বন্দোবস্ত ছিল। প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সঙ্গে এই সময়টায় বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে কোনও যোগ ছিলনা। গুহায় একটি জানালা ছিল। যেখান দিয়ে তিনি মন্দির দেখতে পাচ্ছিলেন।
এদিন বদ্রীনাথে পুজো দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান তাঁকে হিমালয়ের তীর্থস্থানে আসার অনুমতির জন্য। ভোটের পর ২ দিন বিশ্রাম বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ ভ্রমণের প্রচার হচ্ছে প্রভূত পরিমাণে বলে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানায় তৃণমূল। নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন বলেও দাবি করে তৃণমূল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা