রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে পুরো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের ইস্তফাপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দেখা করে এই ইস্তফাপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণও করেছেন রাষ্ট্রপতি। তবে যতদিন না নতুন সরকার গঠিত হচ্ছে ও কার্যভার গ্রহণ করছে ততদিন কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেন রাষ্ট্রপতি। এই পুরো বিষয়টা ঘটলেও এটা ছিল নেহাতই নিয়মরক্ষা।
৫ বছর পুরো করার পর পুরনো সরকারকে এভাবেই নিয়ম মেনে ইস্তফা দিতে হয়। তারপর নতুন সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। তার আগে সেই পুরনো সরকার কাজ চালিয়ে যায়। এবার যা কেবলই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। কারণ নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতা বাড়িয়ে এবার দিল্লির মসনদে বসতে চলেছে। ২০১৪ সালের ১৮ মে কেন্দ্রে প্রথমবার নরেন্দ্র মোদী সরকার গঠন হয়েছিল।
শুক্রবার রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার আগে ক্যাবিনেট বৈঠকে উপস্থিত হয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরো কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেখানেই এদিন ইস্তফাপত্র রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়। তারপরই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকে নরেন্দ্র মোদীকে তাঁর নেতৃত্বের জন্য অভিনন্দন জানান সকলে। অন্য মন্ত্রীদেরও তাঁদের কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানান।
আগামী ৩০ মে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তার আগে তিনি যাচ্ছেন তাঁর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে। সেখানে বারাণসীর মানুষকে তাঁকে জিতিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা