গত ফেব্রুয়ারি মাসে যখন শেষবারের জন্য মন কি বাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তখনই তিনি জানিয়েছিলেন কয়েক মাস পর তিনি ফের এই অনুষ্ঠান নিয়ে ফিরে আসবেন। তারপর ভোট মিটেছে। বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয় বারের জন্য। দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর জুন মাসের শেষ সপ্তাহে ফের তিনি ফিরলেন মন কি বাত নিয়ে। প্রতি মাসের শেষ রবিবারে মন কি বাত হয়ে এসেছে। সেই পরম্পরা নতুন করে শুরু হল এদিন।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, তিনি যখন ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন যে তিনি ফের কয়েক মাস বাদে ফিরে আসবেন, তখন অনেকেই কটাক্ষের সুরে তাঁকে অতি-আত্মবিশ্বাসী বলেছিলেন। সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সেদিন সেকথা বলতে পেরেছিলেন, কারণ তাঁর দেশবাসীর প্রতি ভরসা ছিল। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর প্রথম মন কি বাত-এ প্রধানমন্ত্রী জল বাঁচানোর ওপর জোর দেন। ক্ষমতায় ফেরার পর নীতি আয়োগের বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী জল বাঁচানোর ওপর জোর দিয়েছেন। এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানেও একই বার্তা দিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, তিনি গ্রাম প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে জল বাঁচানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জল বাঁচানোর উপায় খুঁজতে বলা হয়েছে। এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন, কীভাবে জল বাঁচবে তার কোনও নির্দিষ্ট ফর্মুলা নেই। এটা নির্ভর করে প্রতিটি জায়গার ওপর। সেই জায়গার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারপরই ঠিক হয় সেখানে কীভাবে জল বাঁচানো যেতে পারে। এলাকা অনুযায়ী জল বাঁচানোর পদ্ধতি বিভিন্ন হবে। তবে উদ্দেশ্য একটাই। জল বাঁচাতে হবে। বাঁচাতে হবে প্রতিটি জলের ফোঁটা।
ভারতের দক্ষিণ প্রান্তের রাজ্যগুলি গত কয়েক মাস ধরে প্রবল জলকষ্টে ভুগছে। জল প্রায় নেই। তামিলনাড়ুর অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। খোদ চেন্নাই শহরে জলকষ্টে অনেক হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। শহরে জলের সরবরাহ রাখতে ট্রেনে করে জল নিয়ে আসা হচ্ছে। জল নিয়ে গাড়ি এলে বিভিন্ন এলাকায় সাপের মত বিশাল লাইন চোখে পড়ছে। গরমকালে জল না থাকলে কী পরিমাণ কষ্ট হতে পারে তা অনুমেয়। দক্ষিণের ২ রাজ্য তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকে জল সরবরাহ বেশ কিছু জলাধারের ওপর নির্ভরশীল। আর সেগুলিতে জল এবার তলানিতে এসে ঠেকেছে। সেসব কথা মাথায় রেখেই হয়তো জল বাঁচানোর আর্জি নিয়ে মন কি বাত-এ হাজির হলেন প্রধানমন্ত্রী।