ভারতে বাঘের সংখ্যা বাড়ল। আর ২০২২ সালে যে টার্গেট ভারতকে দেওয়া হয়েছিল, তা ২০১৮ সালেই সম্পূর্ণ করল তারা। সোমবার একথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে নিজের বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাঘ গণনার যে ফল পাওয়া গিয়েছে তাতে দেশে বাঘের সংখ্যা এখন ২ হাজার ৯৬৭টি। ২০১৪ সালে যা ছিল ২ হাজার ২২৬টি। তার আগে ২০১০ সালে বাঘের সংখ্যা দেশে ছিল ১ হাজার ৭০৬টি।
সারা পৃথিবী জুড়েই বাঘের সংখ্যা কমতে থাকায় তা ক্রমশ লুপ্তপ্রায় হওয়ার জোগাড় হয়েছিল। তাই ২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি সম্মেলনে ঠিক হয় ২০২২ সালের মধ্যে সব দেশেই বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে হবে। সেই লক্ষ্যমাত্রা ৪ বছর আগেই প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলল ভারত। ৩৩টি কম ৩ হাজার বাঘ রয়েছে ভারতে। আর তা যেভাবে প্রতি ৪ বছরের গণনায় বাড়ছে তাতে ২০২২ সালে এই সংখ্যা অবশ্যই দ্বিগুণকে ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
সোমবার বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস। এদিনই বাঘের আদমশুমারি প্রকাশ করল ভারত। কোন জঙ্গলে কত বাঘ রয়েছে সে খতিয়ান পরে মিলবে। সেক্ষেত্রে পরিস্কার হবে সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের পরিস্থিতি কী! তবে সার্বিকভাবে ভারতে যেভাবে বাঘ বাড়ছে তাতে অবশ্যই খুশি পরিবেশবিদরা, ব্যাঘ্র প্রেমীরা। ভারতে অভয়ারণ্যগুলিতে পশুপাখিদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় করে তোলার সব রকম চেষ্টা করছে ভারত সরকার।
অল ইন্ডিয়া টাইগার এস্টিমেশন। ৪ দফায় বাঘের বাঘশুমারি হল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাঘের সংখ্যা নির্ণয় হল ভারতে। অল ইন্ডিয়া টাইগার এস্টিমেশন-এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এদিন বাঘের সংখ্যা সংক্রান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাঘ বৃদ্ধি পাওয়ার এই খবর সব ভারতবাসীকে গর্বিত করবে। আগামী দিনেও বাঘেরা যাতে ভারতের জঙ্গলগুলিতে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারে সেদিকেও ভারত সরকারকে নজর দিতে হবে। তাহলে বাঘের সংখ্যা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ঠিকই বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা