১৯৪৭ সালের আগে ভারত ও পাকিস্তান একটাই দেশ ছিল। কাশ্মীর নিতান্তই দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এটা ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে পারবে। এ বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষকে কষ্ট দিতে তিনি চান না। সোমবার ফ্রান্সের বিয়ারিৎজ শহরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পাশে বসিয়ে একথা পরিস্কার করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এর আগে ২ বার ট্রাম্প কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার জন্য বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন ২ দেশ চাইলে তিনি মধ্যস্থতায় রাজি। জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ প্রত্যাহারের পর পাকিস্তানই আগ বাড়িয়ে তৃতীয় পক্ষের সামনে বিষয়টি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারত সাফ জানিয়ে দেয় কাশ্মীর সমস্যা ভারত ও পাকিস্তানের বিষয়। দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এ বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ তারা চাইছে না। এদিন ট্রাম্পও বলেন, আগের রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন। মোদী জানিয়েছেন তিনি কাশ্মীর প্রসঙ্গ পাকিস্তানের সঙ্গে বসে মিটিয়ে নিতে পারবেন।
জি৭ বৈঠকের মাঝে সোমবার ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২ রাষ্ট্রপ্রধান যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। ট্রাম্প জানান, জি৭ বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সাফল্য হল ভারতের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাওয়া। অনেকগুলি বাণিজ্যের দিক খোলা। কিছু চুক্তি সাক্ষর হওয়া। পাশাপাশি চিনের সঙ্গে তাঁদের যে বাণিজ্য যুদ্ধ গোটা বিশ্বের আর্থিক পরিস্থিতিকে অস্থির করে রেখেছে, সে প্রসঙ্গে চিনকে তুলোধোনা করেছেন ট্রাম্প। জানিয়েছেন চিনের থেকে অনেক বিদেশি সংস্থাই তাদের দফতর গুটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা