একটা লক্ষ্য স্থির করে সেদিকে এগিয়ে যেতে হবে। যদি কেউ কোনও লক্ষ্য স্থির করে, তাহলে সেই লক্ষ্য ছুঁতে তার জীবনও বদলাতে থাকে। তার ঘুম কমে যায়। খাওয়া দাওয়ার জন্য সময়ে কাটছাঁট হয়। জীবনের অন্য কাজকর্ম কমে যায়। কেবল সে যে লক্ষ্য স্থির করেছে সেদিকে ছুটতে থাকে। আর এভাবেই লক্ষ্যে অবিচল থাকলে এক সময়ে সে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারে। এদিন ছাত্রছাত্রীদের সেই পাঠই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, কোনও ছাত্র বা ছাত্রী যদি ঠিক করে যে তাকে বোর্ডের পরীক্ষায় এতটা নম্বর করতেই হবে। তখন সেই লক্ষ্য ছুঁতে তার জীবন বদলাতে থাকে। বৃহস্পতিবার ফিট ইন্ডিয়া কর্মসূচির উদ্বোধন করে এমনই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্যে অবিচল থেকে সেই লক্ষ্য ছুঁতে তারাই সক্ষম হয় যারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট থাকে। আর শরীর ফিট থাকলে মনও ফিট থাকবে। এজন্য স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। দেন ফিট থাকার মন্ত্র। তাঁর আশা যেমনভাবে স্বচ্ছ ভারত অভিযান সাফল্যের দিকে এগোচ্ছে, তেমন ভাবেই ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট সাফল্য ছোঁবে।
দিল্লি ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে ফিট ইন্ডিয়ার উদ্বোধনে এসে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে পরামর্শের সুরেই জানান, সাফল্যের কোনও লিফট হয়না। সিঁড়ি বেয়েই সাফল্য ছুঁতে হয়। তার জন্য কঠোর পরিশ্রম যেমন দরকার, তেমনই দরকার সুস্থ শরীরের। দেশ জুড়ে যাতে এই ফিট ইন্ডিয়া কর্মসূচি ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তো বটেই এমনকি রাজ্যগুলিকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। দেশের কোণায় কোণায় এই প্রকল্পকে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বক্তব্যের শেষে অর্জুন পুরস্কার প্রাপক থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে হাত মেলান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর গত মন কি বাত অনুষ্ঠানেও দেশবাসীকে ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা