৬৯ তম জন্মদিন পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একদিন আগে থেকেই তার তোড়জোড় বিজেপির নেতা কর্মীরা নানা জায়গায় শুরু করে দিয়েছিলেন। গত সোমবার রাতেই গুজরাট পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সকালে প্রথমেই হাজির হন মায়ের কাছে। জন্মদিনে মায়ের আশীর্বাদ নেন। তারপর সেখান থেকে চলে যান নর্মদা জেলার সর্দার সরোবর নদী বাঁধে। এদিন বিশেষ চপারে কেওড়িয়ায় নেমে সর্দার সরোবর ড্যামে পুজো দেন। প্রধানমন্ত্রী আসছেন বলে ড্যামের এই অংশ ছবির মত সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল।
পুজো শেষে তিনি খালবানি ইকো-ট্যুরিজম সাইটে পৌঁছন। সেখানে ঘুরে দেখেন। প্রকৃতির মাঝে অনেকটা সময় কাটান। এখানেই রয়েছে নর্মদা নদীর ওপর দিয়ে দড়ির সেতু। যা মূলত ক্রীড়ামোদী মানুষজনের কথা মাথায় রেখেই তৈরি। সেই দড়ির সেতু ধরে যান প্রধানমন্ত্রী। এরপর কেওড়িয়ায় জঙ্গল সাফারি ট্যুরিস্ট পার্কে একটি জেব্রা প্রিন্ট করা জিপে ঘোরেন। এ ধরনের জেব্রা প্রিন্ট জিপ সাধারণত জঙ্গলে ঘুরতে ব্যবহার করা হয়। সাফারি পার্কে ঘুরে দেখার সময় অনেক পশুপাখি দেখতে পান প্রধানমন্ত্রী। অনেকটা সময় সাফারি পার্কে ঘোরায় ব্যয় করেন তিনি। উপভোগ করেন জঙ্গলের সৌন্দর্য।
সাফারি শেষ করে সেখান থেকে খালভানি ইকো-ট্যুরিজম পার্কের ক্যাকটাস বাগানে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি এবং রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত। এখানে সর্দার সরোবর ড্যামের ধার ধরে বেশ কিছুটা হাঁটেন ৬৯-এর বার্থ ডে বয়! এখানে রয়েছে একটি প্রজাপতি বাগান। সেখানে হাজির হয়ে হাসি মুখে নীল আকাশের বুকে ফুলের মাঝে উড়িয়ে দেন অনেক প্রজাপতি।
এছাড়া স্ট্যাচু অফ ইউনিটি-র গা ঘেঁষে তৈরি একতা নার্সারিও ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সর্দার সরোবর ড্যামে নামার আগে আকাশপথে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন নরেন্দ্র মোদী। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের অতিকায় স্ট্যাচুর সৌন্দর্য নিয়ে ট্যুইটও করেন। তাঁর দলের নেতারা তো বটেই, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গান্ধীও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা