কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই এই নিয়ে অন্য দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই নেই। তবে বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বিভিন্ন সমস্যার দিক দূর করে আগামী দিনে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার জন্য ২ দেশই আগ্রহ দেখিয়েছে। শনিবার তামিলনাড়ুর মমল্লাপুরমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে ঘরোয়া আলোচনার পর এমনই জানালেন ভারতের বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে। গোখলে জানান, ভারতের তরফে তোলা ট্রেড ডেফিজিট ইস্যু নিয়ে তিনি দেশে ফিরে আলোচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন জিনপিং।
শুক্রবার চেন্নাই পৌঁছনোর পর দিনটা মোদীর সঙ্গে বেড়িয়ে কাটান জিনপিং। শনিবার সকালে ২ রাষ্ট্রনেতা বৈঠকে বসেন। ২ জনের মধ্যে একান্ত আলোচনা হয় ৫৫ মিনিট। পরে বিজয় গোখলে বলেন, ২ দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্বন্ধীয় যাবতীয় সমস্যা মেটাতে ভারতের অর্থমন্ত্রী ও চিনের ভাইস প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে ২ দেশের আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। তারাই যাবতীয় সমস্যার সমাধান করবে। এখন ৮৭ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয় ২ দেশের মধ্যে। আগামী দিনে তা আরও বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত ও চিন।
প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্যের পাশাপাশি ২ দেশের মধ্যে পর্যটন আদানপ্রদানে জোর দেন। ভারতের মানুষের চিনে বেড়াতে যাওয়া বা চিনের মানুষের ভারতে বেড়াতে আসা আরও বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই নিয়ে ২টি ঘরোয়া আলোচনা হল মোদী ও জিনপিংয়ের মধ্যে। তৃতীয় আলোচনার জন্য মোদীকে চিনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জিনপিং। মোদী তা গ্রহণও করেছেন। তবে দিনক্ষণ নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি।
২ দেশের সেনার মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়ানো নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। এই লক্ষ্যে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে চিনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। তবে সব কিছু হলেও যে বিষয়ের দিকে সকলে চেয়েছিলেন সেই কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ২ রাষ্ট্রনেতার কোনও আলোচনা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন বিদেশ সচিব। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা