রি-ইউনিফিকেশন অফ জার্মানি। ২ জার্মানির মিলন। আজ থেকে ৩০ বছর আগে এই দিনটাতেই ভেঙে ফেলা হয়েছিল পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির মধ্যের পাঁচিল। ২ দেশের অগণিত মানুষ মিলিত হয়েছিলেন একে অপরের সঙ্গে। কত মানুষ ফিরে পেয়েছিলেন তাঁদের আত্মীয় বন্ধুকে। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার ৯ নভেম্বর ছিল ৩০ বছর পূর্তি। আর ঠিক সেই দিনেই সকালে ভারতের পঞ্জাব থেকে পাকিস্তানের করতারপুর পর্যন্ত একটি করিডর খুলে দেওয়া হল শিখ পুণ্যার্থীদের জন্য। প্রধানমন্ত্রী নিজে এই করিডরের উদ্বোধন করেন। এদিকে দিল্লিতে তখন অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা হয়েছে। এই ২ ঘটনাই ঘটল বার্লিন প্রাচীর ধ্বংসের দিনে। সন্ধেয় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে সেই কথাই উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর গলায়।
শনিবার সন্ধে ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ২টি বিষয় জায়গা পেয়েছে। করতারপুর করিডর খুলে দেওয়া ও অযোধ্যা মামলার রায়। এই ২টি ঘটনা দেশের শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের নিদর্শন বলে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন এদিন প্রমাণ হল ভারতে গণতন্ত্র কতটা শক্তিশালী। এই দিনটাকে ভারতীয় বিচারব্যবস্থার সোনালি দিন বলেও ব্যাখ্যা করেন তিনি। অযোধ্যার রায়কেও স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার ওপর তাঁর আস্থা রয়েছে। বিচার ব্যবস্থার এই রায় ভারতের সব মানুষের মেনে নেওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী এদিন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলারও বার্তা দেন। তিনি বলেন, এটা মনে রাখতে হবে যে ভারতকে এগিয়ে যেতে হবে। যুব শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। আর এটা মাথায় রাখতে হবে যে এই এগিয়ে যাওয়া সকলে মিলে হতে হবে। নজর রাখতে হবে কেউ যেন পিছিয়ে না পড়েন। ভারতকে এগিয়ে চলার বার্তার পাশাপাশি দেশ এখন তিক্ততা, নেতিবাচক ভাবনা ছেড়ে এগিয়ে চলেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা