মহারাষ্ট্রে সরকার গড়বে কে? এখন এটাই বড় প্রশ্ন। বিজেপি-শিবসেনার সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। শিবসেনা এখন বিজেপিকে ছেড়ে শরদ পাওয়ারের এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়তে চাইছে। এ নিয়ে সোমবার দিল্লিতে শরদ পাওয়ার ও সনিয়া গান্ধী নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করেন। এদিকে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার রাস্তা থেকে কিন্তু সরে আসছে না বিজেপি। সোমবার তেমনই একটা ইঙ্গিত মিলল খোদ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। যেখানে এনসিপি মহারাষ্ট্রে এখন তুরুপের তাসের মত অবস্থায় রয়েছে, সেখানে তাদের নিয়ে যে টানাটানির খেলা হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন সেই চেষ্টা প্রচ্ছন্নে জায়গা পেল প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে।
শিবসেনা যখন এনসিপি-র সঙ্গে প্রায় রফা করেই ফেলেছে, সেখানে হাল ছাড়ছে না বিজেপি। সোমবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যসভার গরিমা, সেখানে বিশিষ্ট মানুষের আসা, রাজ্যসভার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন আলোচনা নিয়ে কথা বলতে বলতে বলেন, এনসিপি ও বিজেডি এমন দল যারা ওয়েলে নেমে কখনও বিক্ষোভ দেখায় না। তারমানে এই নয় যে তারা মানুষের মন জয় করতে পারেনা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখালে বরং সংসদের গরিমা নষ্ট হয়।
সোমবার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভকে সামনে রেখে বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রীর মুখে এনসিপি নামটা শোনা গেছে। প্রতিবারই এনসিপির তিনি প্রশংসা করেছেন। এমনকি নিজের দলের সাংসদদেরও এটা শিখতে বলেন। কিন্তু ওয়েলে নেমে বিক্ষোভের পিছনে এনসিপি নিয়ে এত উন্মাদনার কী অন্য কোনও কারণ রয়েছে? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা কিন্তু বলছেন, মহারাষ্ট্রে শিবসেনার মতই এবার বিজেপিও এনসিপির সঙ্গে জোট করে সরকার গড়ার কথা ভাবছে হয়তো। অথবা শিবসেনাকে ফাঁপরে ফেলতে এনসিপিকে সরকার গড়ার সব সমীকরণ থেকেই দূরে রাখতে চাইছে তারা। অন্তত প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্য কিন্তু অন্য প্রশ্ন তুলেই দিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা