২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় সেখানে নরেন্দ্র মোদী সরকার ছিল। নরেন্দ্র মোদী তখন ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তিনি বা তাঁর সরকার দাঙ্গায় মদত দিয়েছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছিল তা খতিয়ে দেখতে নানাবতী কমিশন গঠিত হয়েছিল। সেই কমিশন এদিন তাদের দেড় হাজার পাতার রিপোর্ট পেশ করল। যাতে তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা তাঁর মন্ত্রিসভার কাউকে দাঙ্গায় মদত দেওয়ার কাজে লিপ্ত বলে জানানো হয়নি।
রিপোর্টটি বুধবার গুজরাট বিধানসভায় পেশ করা হয়। রিপোর্টে সাফ জানানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদী বা সে সময় সরকারের অন্য কেউ দাঙ্গায় মদত দিয়েছেন এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। এমন কোনও প্রমাণও মেলেনি। অবশ্যই এদিনের নানাবতী কমিশনের রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য বড় স্বস্তির কারণ হল। আগেই নানাবতী কমিশন তাদের রিপোর্ট গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেলের হাতে তুলে দিয়েছিল। বুধবার চূড়ান্ত রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করা হল।
২০০২ সালে গোধরা কাণ্ডের পর গুজরাটে আগুন জ্বলে। গোধরার কাছে সবরমতি এক্সপ্রেসে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছিল ৫৯ জনের। সবরমতি এক্সপ্রেসে ওইদিন অধিকাংশ যাত্রীই ফিরছিলেন অযোধ্যা থেকে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজরাট জ্বলে ওঠে। সে সময়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বহু মানুষ প্রাণ হারান। ওই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সে সময় গুজরাটের নরেন্দ্র মোদী সরকারের দিকে আঙুল ওঠে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বসে নানাবতী কমিশন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা