অনেক দল মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। তাছাড়া ১৩০ কোটি ভারতীয়ের সঙ্গে এই আইনের কোনও সম্পর্ক নেই। ভারতের ৩ পড়শি দেশ থেকে আগত শরণার্থীদের জন্য এই আইন। নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে এভাবেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পাশে দাঁড়িয়ে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একহাত নিলেন বিরোধীদেরও। এমনকি বাদ গেলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদে পাশ হাওয়া আইন মানুষের ভোটে জিতে আসা কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী মানতে চাইছেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময়ে বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য গলা ফাটিয়েছিলেন। এখন তাঁর কী হল?
প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে না। এমন কোনও কিছু আইনে নেই। আইনটির কথা সংসদে পরিস্কার করা হয়েছে। আর সংসদে মিথ্যা কথা বলা যায়না। ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে এই আইনের কোনও সম্পর্কই নেই। তিনি আরও দাবি করেন শুধু রাজনৈতিক দলগুলি বলেই নয়, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শহুরে নকশালরাও নানা ভুল প্রচার করছেন। কারও কথায় কান না দিয়ে দেশের যুব সমাজকে পুরো আইনটি পড়ে দেখার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, এনআরসি সারা দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। ওটা কেবল অসমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। সারা দেশের সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠছে। কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার বলেছেন সারা দেশেই এনআরসি হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলছেন এনআরসি কেবল অসমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ভারতের অন্য কোনও রাজ্যের জন্য নয়। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ২ ধরনের কথা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা