যাঁদের বয়স ৬০ বছরের বেশি তাঁদের আগামী কয়েক সপ্তাহ বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কারণও রয়েছে। করোনা সবচেয়ে খারাপ ফল দিচ্ছে বয়স্কদের ক্ষেত্রে। যদি তাঁরা কোনও অন্য অসুখে আগে থেকেই কাবু থাকেন তাহলে করোনা তাঁদের জন্য মৃত্যু পরোয়ানাও নিয়ে আসতে পারে। ভারতে যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের প্রত্যেকেরই ৬০ বছরের ওপর বয়স। তাঁদের প্রত্যেকেরই আগে থেকে কিছু না কিছু রোগ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী এদিন দাবি করেন করোনা যেভাবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে তাতে এত দেশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও এমন বিপদের সম্মুখীন হয়নি। গত ২ মাস ধরে বিশ্বজুড়ে ক্রমশ ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। গোটা মানবজাতি সংকটের মুখে পড়েছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী জানান, কেউই ভাববেন না তিনি সুস্থ আছেন বলে তিনি দিব্যি যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারেন। তাঁর করোনা হতে পারেনা। এটা সঠিক ভাবনা নয়। বরং সকলকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যাবতীয় নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, এই পরিস্থিতিতে সামনের কয়েকটা সপ্তাহ জরুরি। এই সময় দেশবাসীকে ২টি বিষয়ে স্থির থাকতে হবে। সংকল্প ও সংযম। করোনা ঠেকাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির প্রচারিত পরামর্শ মেনে চলতে হবে। নিজেদের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। অন্যদেরও বাঁচতে হবে। ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। খুব দরকার না পড়লে বাড়িতেই সকলকে থাকার জন্য বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন এই রোগের এখনও কোনও ওষুধ নেই। তাই সামাজিক দূরত্ব জরুরি। পাশাপাশি তিনি জানান, এই সময়ে যদি কেউ কর্মস্থলে না যান তাহলে তাঁর যেন বেতন না কাটা হয়। মানবিকতার স্বার্থে এটা করার আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা