করোনা রুখতে রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জনতা কার্ফু। এই সময় ভারতবাসীকে ঘর থেকে বার হতে মানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ডাক দিয়েছেন নিজেকে সুস্থ রাখতে এবং অন্যকে সুস্থ রাখতে জনতা কার্ফু সফল করতে। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর শনিবার প্রধানমন্ত্রী ভারতবাসীর কাছে আবেদন করেন ফের ভারতবাসীকে একটা পার্টনারশিপ তৈরি করতে হবে। একদম ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের ফাইনালে যুবরাজ সিং ও মহম্মদ কাইফের পার্টনারশিপের মত। যে পার্টনারশিপ ভারতকে স্বপ্নের জয় এনে দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর জনতা কার্ফুর আবেদনের পর মহম্মদ কাইফ ট্যুইট করে লেখেন এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে সকলকে পরামর্শমত কাজ করতে হবে। সেই ট্যুইটের উত্তর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন এবার আরও একটা পার্টনারশিপ দরকার। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভারতের আবার একটা পার্টনারশিপ দরকার। ভারতের ২ দুর্দান্ত ক্রিকেটারের চিরদিন মনে রাখার মত পার্টনারশিপের মত।
২০০২ সালে লর্ডসের মাঠে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের ফাইনালে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে করে ৩২৫ রান। একদিনের ম্যাচে তখন ৩২৫ রান খুবই কঠিন টার্গেট ছিল। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ৬০ রানের একটা দুরন্ত ইনিংস খেলেন। কিন্তু ব্যর্থ হন শচীন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়। প্রবল চাপে পড়া সেই ভারতীয় ইনিংসকে বাঁচাতে হাল ধরেন যুবরাজ সিং ও মহম্মদ কাইফ। যুবরাজ ৬৯ রানে ফেরেন। কাইফ শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ভারতকে জিতিয়ে দেন। তিনি করেন ৮৭ রান। ৩ বল বাকি থাকতেই ৩২৬-এ পৌঁছে যায় ভারত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা