বিশেষজ্ঞেরা এমনটাই চাইছিলেন। সেই পথেই হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা দেশকে ২১ দিনের জন্য গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিলেন তিনি। ভারতে রাত ১২টা থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করলেন তিনি। এও জানিয়ে দিলেন, একে যেন সাধারণ মানুষ কার্ফু হিসাবেই নেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন জানার পর থেকে অনেকই আন্দাজ করতে শুরু করেছিলেন এবার গোটা দেশকে হয়তো একটা বড় সময়ের জন্য স্তব্ধ করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ করোনা রুখতে এখন একটাই দাওয়াই। সকলের গৃহবন্দি থাকা।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে বলেন যে কীভাবে ছড়াচ্ছে এই ব্যাধি। প্রথম দিকে এর বাড়বাড়ন্ত তেমন না হলেও সময়ের সঙ্গে তা হুহু করে বাড়তে থাকে। মাত্র ১১ দিনে কীভাবে ১ লক্ষ মানুষকে কাবু করে এই ভাইরাস সেই তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, বিশ্ব জুড়ে অনেক দেশ তাদের সাধ্য মত সবরকম চেষ্টা করেও কিন্তু করোনাকে রুখতে পারেনি। একে রোখার একটাই রাস্তা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। আর সেই দূরত্ব বজায় রাখতে একটাই রাস্তা, সকলের বাড়িতে নিজেদের বন্দি করে ফেলা।
গোটা ভারত এভাবে স্তব্ধ থাকলে প্রধানমন্ত্রী জানান এই ভাইরাসের চেন ভেঙে দেওয়া সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর বিভিন্ন রাজ্য যে ৩১ মার্চ বা এক একটা দিন পর্যন্ত কার্ফু বা লকডাউন ঘোষণা করেছিল তার আর কোনও মূল্য রইল না। এপ্রিলের প্রায় মধ্যভাগ পর্যন্ত ভারত স্তব্ধ হয়ে গেল। ভারতের মত এভাবে লকডাউন সারা বিশ্বে এখনও কোথাও হয়নি। ভারত কী তবে পথ দেখাতে চলেছে? তার উত্তর সময়ই দেবে।