মঙ্গলবারই তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে জানিয়েছিলেন ২১ দিনের জন্য লকডাউনে যেতে হবে গোটা দেশকে। যাতে করোনার চেনকে ভেঙে দেওয়া যায়। বুধবার তিনি তাঁর কেন্দ্র বারাণসীর মানুষের প্রতি ভাষণে জানান কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ চলেছিল ১৮ দিন। আর করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ হবে ২১ দিনের। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ এক বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আর করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে দেশের ১৩০ কোটি মানুষ বড় ভূমিকা পালন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, করোনার বিরুদ্ধে এই ২১ দিনের লড়াইয়ে কাশীবাসীর একটা বড় ভূমিকা থাকবে। তিনি আরও বলেন, কাশী হল জ্ঞানের ভাণ্ডার। এখানে শেষ হয়েছে অনেক পাপ। এই বিপদের সময়ও কাশী সকলের সামনে একটা উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। লকডাউনের এই সময়ে কাশী সংযম, সমন্বয়, সংবেদনশীলতা, সহযোগিতা ও সহনশীলতার পাঠ দিতে পারে সকলকে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন ফের একবার মনে করিয়ে দেন যে করোনার সঙ্গে লড়াই করার সবচেয়ে ভাল রাস্তা হল নিজেকে আলাদা করা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। সকলকে বাড়িতে থাকতে ও সুস্থ থাকতে বলেন তিনি। ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণার পর বুধবার ছিল লকডাউনের প্রথম দিন। সারা দেশই এদিন যেন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানে ভিড় নজর কেড়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা