গ্যাস লিক কাণ্ডে জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, মৃত্যু বাড়ছে
বিশাখাপত্তনমের কাছে গ্যাস লিক কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। অবস্থা বিবেচনা করে তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। নজর রাখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও।
বিশাখাপত্তনমের কাছে আরআর ভেঙ্কটাপুরম গ্রামে রাসায়নিক কারখানার এলজি পলিমার ইউনিট থেকে গ্যাস লিক করে রাত আড়াইটে নাগাদ। আশপাশের গ্রামের মানুষ তখন গভীর ঘুমে ছিলেন।
গ্যাস খুব দ্রুত ৩ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। শরীরে অস্বস্তি শুরু হয় সকলের। শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে। চোখ জ্বলতে থাকে। ঘুম ভেঙে তখন সেই কষ্ট থেকে বাঁচতে শুরু হয়ে যায় একের পর এক গ্রামে হৈচৈ।
যে যেদিকে পারেন ছুটতে থাকেন। এই অবস্থায় কেউ কুয়োয় ঝাঁপ দেন। কেউ হঠাৎ লুটিয়ে পড়েন মেঝেতে। অনেকেই অচেতন হয়ে পড়তে থাকেন। একের পর এক মৃত্যুর খবর সামনে আসতে থাকে।
৮ বছরের এক বালিকা সহ এখনও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এই গ্যাস লিক কাণ্ডে। এ ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের ডাক দিয়ে বৈঠক করেন তিনি।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, বিশাখাপত্তনমের পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
এদিন গ্যাস লিক হওয়ার পর শুরুতেই প্রায় ২০০ জন মানুষকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় যে কটি হাসপাতাল রয়েছে সব হাসপাতালেই পৌঁছতে শুরু করেন রোগীরা। অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গোটা এলাকায় প্রবল আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি ভোরেই স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে এই পরিস্থিতি দ্রুত আয়ত্তে আনা যায়। মানুষের প্রাণ বাঁচাতে যা করার তা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থদের দেখতে নিজে হাজির হওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা