National

ঘোষিত লকডাউন ৪.০, নয়া স্বদেশী আন্দোলনের ডাক প্রধানমন্ত্রীর

সব জল্পনার অবসান। লকডাউনের চতুর্থ ধাপের ঘোষণা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

লকডাউনের মেয়াদ ফের বাড়ছে। লকডাউন ৪.০-এর কথা এদিন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই চতুর্থ দফার লকডাউনের চেহারা আগের মত যে হবে না তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। ১৮ মে থেকে চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হলেও তা কবে শেষ হবে তাও জানাননি প্রধানমন্ত্রী।

বিশেষজ্ঞদের মতে এদিন প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তাতে বেশ কিছু নিয়ম, নিষেধাজ্ঞা, সামাজিক বিধিনিষেধ প্রয়োগ করে এক শর্তসাপেক্ষ লকডাউন দেখা যেতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন এই লকডাউনের যাবতীয় নিয়ম ১৮ মে-র আগেই পরিস্কার করে দেওয়া হবে।


প্রধানমন্ত্রী এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে আত্মনির্ভর ভারতের ডাক দিয়েছেন। যা কার্যত একটি নয়া স্বদেশী আন্দোলন। দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতির ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যা দাঁড়িয়ে থাকবে ৫টি স্তম্ভের ওপর। অর্থনীতি, পরিকাঠামো, প্রযুক্তি চালিত ব্যবস্থা, ডেমোগ্রাফি ও চাহিদার ওপর।

দেশের চাহিদা অনুযায়ী যোগানের ক্ষমতা তৈরিতে জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। জানান করোনা পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিয়েছে স্থানীয় উৎপাদনের গুরুত্ব। করোনায় যোগান ঠিক রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে স্থানীয় উৎপাদন বলেও দাবি করেন তিনি।


এদিন দেশবাসীর প্রতি স্বদেশী বস্তু তৈরিতে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান এর মধ্যে দিয়ে একবিংশ শতাব্দী ভারতের হতে পারে। দেশেই সবকিছু তৈরিতে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন এক বিশাল অঙ্কের আর্থিক প্যাকেজেরও ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কথা মাথায় রেখে সকলের জন্য একটি ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হল। ২০ লক্ষ কোটি টাকা দেশের জিডিপি-র ১০ শতাংশ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। জানান, এতে দেশের শ্রমিক, কৃষক, ক্ষুদ্র-ছোট ও মাঝারি শিল্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপকৃত হবেন।

এই প্যাকেজ কী হতে চলেছে তা আগামী দিনে অর্থমন্ত্রী দেশবাসীকে জানিয়ে দেবেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। করোনার জেরে দেশের অর্থনীতির যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে এই আর্থিক প্যাকেজ দেশের অর্থনীতি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত মানুষের রোজগারের অনিশ্চয়তাকে কীভাবে দূর করতে পারে তা সময়ই বলে দেবে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button