ভূমি পুজো, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, পারিজাত রোপণ, ৩ ঘণ্টার ঠাসা সূচি প্রধানমন্ত্রীর
রাম মন্দিরের ভূমি পুজোকে কেন্দ্র করে অযোধ্যা সেজে উঠেছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যায় থাকবেন ৩ ঘণ্টা।
লখনউ : অযোধ্যায় সাকুল্যে ৩ ঘণ্টা থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ৩ ঘণ্টায় কার্যত ঠাসা অনুষ্ঠানসূচি রয়েছে তাঁর। অবশ্যই সবই ঘিরে আছে রাম মন্দিরের ভূমি পুজো। যে ভূমি পুজোর মূল ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা দুপুর সাড়ে ১২টায়। প্রধানমন্ত্রী সেখানে শিলা পূজন, ভূমি পূজন এবং কর্মশিলা পূজন করবেন। এগুলি এক এক করে সমাপন হবে। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে পুজো হবে। তবে মূল পুজোটি হবে মাত্র ৩২ সেকেন্ডের।
৩২ সেকেন্ডের এই পুজোর নাম অভিজিৎ মুহরত। কী এই অভিজিৎ মুহরত? অভিজিৎ মুহরত হল সেই সময় যখন ধরা হয় ভগবান শ্রী রামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন। সেই সময়টিতেই হবে মূল পুজো। তারপর প্রধানমন্ত্রী ৪০ কেজি ওজনের রুপোর ইট স্থাপন করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনই রাম মন্দিরের নির্মাণ শুরুর চিহ্ন বহন করবে। তারপর আগামী দিনে শুরু হবে রাম মন্দির তৈরির কাজ। প্রসঙ্গত ১৯৯০ সালে এই রাম মন্দিরকে সামনে রেখেই জাতীয় রাজনীতিতে প্রবলভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিল বিজেপি। তাদের নির্বাচনী আশ্বাসও ছিল এই রাম মন্দির গঠন। এদিন সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে।
বুধবার বেলা ১০টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে লখনউ এসে পৌঁছবেন। তারপর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দেবেন অযোধ্যায়। ১১টা ৩০ মিনিটে অযোধ্যার সাকেত মহাবিদ্যালয়ের জমিতে তৈরি হেলিপ্যাডে তাঁর হেলিকপ্টার অবতরণ করবে। সেখান থেকে ১১টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী হাজির হবেন হনুমানগড়ি মন্দিরে। সেখানে ১০ মিনিট থাকবেন তিনি। হনুমানজির পুজো করবেন। তারপর সেখান থেকে সোজা হাজির হবেন রাজ জন্মভূমি চত্বরে যেখানে রামলালার পুজো করবেন তিনি।
দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে তিনি মন্দির চত্বরে একটি পারিজাত বৃক্ষ রোপণ করবেন। তারপর হাজির হবেন মূল পূজানুষ্ঠানে। সেখানে সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হবে ভূমি পুজোর ধর্মীয় আচার। ১২টা ৪৫ মিনিটে এই পূজানুষ্ঠান সমাপ্ত হবে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর প্রধানমন্ত্রী আগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে ১ ঘণ্টার মত একটি বক্তব্য পেশ করবেন। তারপরই তিনি অযোধ্যা থেকে ফেরত আসবেন লখনউতে। সেখান থেকে ফেরত যাবেন দিল্লি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা