রাম মন্দিরের ভূমি পুজো করলেন প্রধানমন্ত্রী, রামলালাকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম
রাম মন্দিরের ভূমি পুজো ঘড়ি ধরেই সম্পন্ন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে হয় ভূমি পুজো।
অযোধ্যা : যা সূচি ছিল তার নড়চড় হল না। এদিন ১১টা ৪০ মিনিটের পর অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মন্দিরে হাত ধুয়ে প্রবেশ করে হনুমানজির মূর্তির সামনে আরতি করেন প্রধানমন্ত্রী। মন্দিরে কিছুটা সময় কাটান। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তারপর সেখান থেকে হাজির হন রামলালার মন্দিরে। রামলালার সামনে হাজির হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করেন। প্রধানমন্ত্রীকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করতে দেখা যায়না। এদিন তিনি তাই করেন। তারপর আরতি করেন রামলালার।
ঠিক ১২টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী পারিজাত বৃক্ষের একটি চারা রোপণ করেন। পারিজাত অতিবিরল প্রজাতির একটি গাছ। সহজে পাওয়া মুশকিল। হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পারিজাত স্বর্গের বৃক্ষ। সেটিকে পৃথিবীতে নিয়ে আসা হয়েছিল। কুন্তি ছেলে অর্জুনের কাছে পারিজাত গাছের ফুল চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন পারিজাত গাছের ফুল গিয়ে পুজো করবেন। মহাভারতের সেই গাথা মেনেই পারিজাত হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পূজনীয় একটি বৃক্ষ। পারিজাত রোপণ করার পর সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী হাজির হন ভূমি পুজোর মণ্ডপে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর নামেই সংকল্প হয়। ১২টা ১৫ মিনিট থেকে শুরু হয় ধর্মীয় আচার। সঙ্গে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ। তারপর একে একে আচমন, মন্ত্রপাঠের মধ্যে দিয়ে এগোতে থাকে পূজাবিধি। ভূমি পূজাস্থলে যে চৌকো গর্তের চারপাশে বসে এই পুজো হচ্ছিল সেই গর্তে রাখা ছিল মূল শিলা। যেটি রুপো দিয়ে তৈরি। ওজন ৪০ কেজি। এছাড়াও চারধারে রাখা ছিল ৯টি শিলা। রঙিন কাপড়ে মোড়া। এই শিলাগুলি হল সেই শিলা থেকে নেওয়া যখন রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন কোণা থেকে এসেছিল রাম নাম লেখা শিলাখণ্ড। সে সময় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার শিলা এসেছিল অযোধ্যায়। তার থেকেই বেছে নেওয়া হয় বিভিন্ন প্রান্তের শিলা। শিলার পুজো হয়।
প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে পুজো। প্রধানমন্ত্রীই মূল পুজো করেন। তারপর আসে সেই ক্ষণ যে সময় মনে করা হয় রাম জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। সেই ১২টা ৪৪ মিনিট থেকে ১২টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ৩২ সেকেন্ডের সেই মুহুর্ত অভিজিৎ মুহরত নামে পরিচিত। সেই সময়ই বিশেষ পুজো হয়। শেষে ভূমি পুজোর স্থান পরিক্রমা করেন প্রধানমন্ত্রী। শেষ হয় পুজো। পুজোর স্থানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধু, মহন্তরা। এছাড়াও ছিলেন বেশ কয়েকজন অতিথি। ছিলেন উমা ভারতী, বাবা রামদেব সহ অনেক পরিচিত মুখ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা