সেলফি জোন, গেম, ঢালাও ইতিহাস, স্বচ্ছতা কেন্দ্রের দরজা খুললেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের মানুষের কাছে মহাত্মা গান্ধী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত দেশকে স্বচ্ছ করার লড়াই ধরা পড়ল রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা কেন্দ্রে।
নয়াদিল্লি : স্বচ্ছ ভারত অভিযান তাঁর স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সচেষ্টও। স্বচ্ছ ভারত গড়ে তুলতে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানা উদ্যোগ তাঁর সরকার নিয়েছে। এক সময় মহাত্মা গান্ধীও স্বচ্ছ ভারত গড়ার কথা বলেছিলেন। মহাত্মা গান্ধী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বচ্ছ ভারত গড়ে তোলার এই দীর্ঘ পথ এবার তুলে ধরা হল ‘রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা কেন্দ্র’-এ। একদম অন্য ভাবনা থেকে তৈরি হল ‘রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা কেন্দ্র’। দিল্লিতে শনিবার এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানান তিনি। তারপর ‘রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা কেন্দ্র’-এর উদ্বোধন করেন। রিমোটের সাহায্যে কেন্দ্রের দরজা খোলেন তিনি।
এই কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে মহাত্মা গান্ধী থেকে নরেন্দ্র মোদীর স্বচ্ছতা অভিযানের দীর্ঘ পথের চিহ্ন। ৩টি মডেল রয়েছে ভিতরে। একটিতে রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলন। দ্বিতীয়টিতে উঠে এসেছে গ্রামে গ্রামে খোলা জায়গায় শৌচকর্মের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসা কিশোরকুলের কথা। যারা বড়দের খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করতে মানা করছে। আর তৃতীয়টিতে উঠে এসেছে শৌচালয় নির্মাণে ব্যস্ত মহিলারা।
এই ‘রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা কেন্দ্র’-এ স্বচ্ছতা সম্বন্ধীয় দেশের ইতিহাস ও স্বচ্ছতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মানুষকে জাগ্রত করতে নানা সময়ের উদ্যোগের ইতিহাস অডিও ভিজুয়ালের মধ্যে দিয়ে ধরা থাকছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন এই পুরো কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন। যাঁরা স্বচ্ছতার জন্য লড়াই করেছেন তাঁদের কথা থাকছে এই কেন্দ্রে। থাকছে দেশকে স্বচ্ছ করে তুলতে মহিলাদের যোগদানের ইতিহাস।
এই কেন্দ্রকে মানুষের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে এখানে একটি সেলফি জোনও রাখা হয়েছে। সেখানে কেউ চাইলে নিজেদের ফ্রেম বন্দি করতে পারেন। এছাড়া থাকছে গেম খেলার সুযোগ। তবে এই গেম কোথাও গিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তেমনই গেম এখানে রাখা হয়েছে যা মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রও হবে আবার তাঁদের মধ্যে স্বচ্ছতার প্রতি আগ্রহও জাগ্রত করবে। তবে গেম বা সেলফি জোন অবশ্যই আগত দর্শকদের আনন্দ দেবে। এদিন এই কেন্দ্রের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা