কম সময়ে সব ভারতীয়কে টিকা প্রদানের রূপরেখা তৈরি, লালকেল্লায় বললেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের সব মানুষকে করোনা প্রতিষেধক টিকা প্রদানের রূপরেখা তৈরি। শনিবার ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নয়াদিল্লি : মেঘে ঢাকা দিল্লিতে এদিন ঘড়ি ধরেই আকাশে উড়ল ভারতের জাতীয় পতাকা। প্রধানমন্ত্রী নিয়ম মেনেই লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করেন। ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা মুখরিত হয়ে ওঠে জাতীয় সঙ্গীতে। গোটা লালকেল্লা এদিন সেজে উঠেছিল সুন্দর সাজে। ফুল, লাল কার্পেট, তিরঙ্গা বর্ণের সমাহার সবই ছিল সাজানো। কেবল নিয়ন্ত্রিত ছিল অতিথি সমাগম। করোনার কারণে এবার নিয়ন্ত্রিত অতিথিদের সামনে সপ্তম বারের জন্য লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এদিন জানান করোনা প্রতিষেধক ৩টি টিকার ট্রায়াল বিভিন্ন স্তরে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই টিকাগুলি প্রয়োগে সবুজ সংকেত দিলেই দেশে এই টিকা প্রদানের কাজ শুরু হয়ে যাবে। দেশে যাতে খুব কম সময়ের মধ্যে সব দেশবাসীকে এই টিকা প্রদান করা যায় তার রূপরেখা ইতিমধ্যেই তাঁর সরকার তৈরি করে ফেলেছে বলে এদিন সকলকে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা প্রতিষেধক নিয়ে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী এদিন কোনও বড় ঘোষণা করতে পারেন বলেই গুঞ্জন চলছিল। এদিন তা স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন টিকা তৈরি হলে তা কম সময়ের মধ্যেই সকল দেশবাসীকে দেওয়া হবে। করোনা যোদ্ধাদের কুর্নিশ জানিয়েই এদিন স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য পেশ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রত্যাশামতই এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সীমান্তের কথা উঠে এসেছে। ভারত-চিন সীমান্তে নতুন করে তৈরি হওয়া উত্তেজনা হোক বা ভারত-পাক সীমান্তে পাকিস্তান সেনা ও সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপ, প্রধানমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট করে দেন ভারতীয় সেনা যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে তৈরি। যখন ভারতকে কেউ চ্যালেঞ্জ করেছে ভারতীয় সেনা তাদের ভাষাতেই তাদের জবাব দিয়েছে বলে গর্বের সঙ্গে জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশ কী করতে পারে, ভারতের জওয়ানরা কী করতে পারেন তা লাদাখে দেখিয়ে দিয়েছে ভারত। যা গোটা বিশ্ব দেখেছে।
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের যোগদান নিয়ে এদিন প্রচ্ছন্ন সওয়াল ছিল প্রধানমন্ত্রীর গলায়। তিনি জানান রাষ্ট্রসংঘের ১৯২টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৮২টি দেশ ভারতের সিকিউরিটি কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছে। প্রসঙ্গত চিনের অনিচ্ছা প্রকাশেই এখনও ভারতের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া হয়ে ওঠেনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা