হ্যাক হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টই হ্যাক হয়ে গেল বৃহস্পতিবার।
নয়াদিল্লি : বৃহস্পতিবার ভোর। দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টই হ্যাক হয়ে গেছে। যেকথা ট্যুইটার স্বীকারও করে। বেশ কিছুটা সময় হ্যাকড অবস্থায় থাকে ওই ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট। হ্যাক হওয়া ওই ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে তখন বিটকয়েন বা অন্য ক্রিপটোকারেন্সি দান করার আবেদন নজর কাড়ে। অর্থাৎ হ্যাকাররা সেখানে বিটকয়েন বা অন্য ক্রিপটোকারেন্সি দান করার আবেদন ছড়িয়ে দেয়।
ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ এই হ্যাকের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করে। অবশেষে সকালে ফের এই ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের কবল মুক্ত হয়। প্রশ্ন ওঠে প্রধানমন্ত্রীর অন্য কোনও ট্যুইটার অ্যাকাউন্টও কী হ্যাক হয়েছে? ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়ে দেয় তাদের জানা নেই এমন কিছু হয়েছে বলে। ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে। কোথা থেকে কীভাবে হ্যাকিং করা হল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের দাবি এই পুরো বিষয়টিতে তাদের তরফে পরিষেবায় কোনও ঘাটতি নেই।
প্রধানমন্ত্রীর এই ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার সংখ্যা ২৫ লক্ষের ওপর। এই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে হ্যাকার প্রধানমন্ত্রীরই ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ড-এ দান করার আহ্বান জানিয়েছে। তবে তা ক্রিপটোকারেন্সির মাধ্যমে। ইথেরিয়াম নামে ক্রিপটোকারেন্সি হল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপটোকারেন্সি। যার স্থান বিটকয়েনের পরেই। সেই ইথেরিয়াম দিয়ে দান করতে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত গত জুলাই মাসে ট্যুইটারে বিশ্বের অনেক তাবড় ব্যক্তিত্বের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। যা নিয়ে হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল বিশ্বজুড়ে।
এখন প্রশ্ন হল প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টই যদি হ্যাক হতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা কোথায়? বহু সেলেব্রিটি তো বটেই অনেকেরই ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাঁদের তাহলে সুরক্ষা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে আসলে কী বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা হল? এটাই কী দেখানো হল যে ভারতের সব মানুষই হ্যাকারদের হাতের মুঠোয় রয়েছেন! কারণ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট যদি হ্যাক হতে পারে তাহলে আর কেউই সুরক্ষিত নন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা