৩ হাজার মিটার উচ্চতায় বিশ্বের বৃহত্তম হাইওয়ে টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাইওয়ে টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় এই টানেল সীমান্ত সংযোগে বড় ভূমিকা নেবে।
মানালি : বহু প্রতীক্ষিত অটল টানেল-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০০২ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন অটলবিহারী বাজপেয়ী এই টানেল তৈরির শিলান্যাস করেন। তারপর ১৯ বছর পর এই টানেল সম্পূর্ণ হয়ে মানুষের জন্য নিবেদিত হল।
এই টানেল শুধু হিমাচলের মানুষের সুবিধাই নিশ্চিত করবেনা, সেইসঙ্গে ভারতের সীমান্ত সংযোগ বৃদ্ধি করবে। যা সীমান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা নেবে।
শনিবার ৯.২ কিলোমিটার লম্বা এই টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মানালির দিক থেকে টানেলের উদ্বোধন করেন তিনি। ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় এত বড় টানেল বিশ্বে এই প্রথম। এটি মানালি ও লাহুল স্পিতির মধ্যে সংযোগ অনেক উন্নত করে দিল।
লাহুল স্পিতির বাসিন্দাদের জন্য এই টানেল সঞ্জীবনী বুটি বলে ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। রোটাং পাস ধরে এই টানেল দেশের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যেও এক বড় সাফল্য।
প্রধানমন্ত্রী এদিন এই রাজকীয় টানেলের উদ্বোধন করে তোপ দাগেন কংগ্রেস সরকারকে। ২০০২ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী এই টানেলের শিলান্যাস করার পর কংগ্রেস সরকার দীর্ঘদিন এই টানেলের কাজে গাফিলতি করেছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এই টানেলের কাজ শুরু হয়। তারপর ২৬ বছরের কাজ ৬ বছরে শেষ করা হয়েছে।
দেশের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এবং সীমান্ত সংযোগকে আরও শক্তিশালী করতে এই টানেল তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগের সুরেই বলেন কংগ্রেস সরকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সমঝোতার পথে হেঁটেছে। কিন্তু তাঁর সরকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করে তুলছে। যার একটা বড় জায়গা হল সীমান্ত সুরক্ষা। সেটাই এদিন শক্তিশালী করা হল।
তাছাড়া হিমালয়ের পাহাড়ি রাস্তা ধরে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রেও এই টানেল সময় বাঁচাবে। শীতের সময়ও বরফ ঢাকা হিমাচলে এই টানেল যাতায়াতকে মসৃণ রাখতে সাহায্য করবে। যা সেখানকার সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা