Durga Pujo

সল্টলেকের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সল্টলেকে বিজেপির একটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর এদিনের উদ্বোধন ঘিরে গত বুধবার থেকেই রাজ্য বিজেপির তরফে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল।

কলকাতা : মহাষষ্ঠীর সকালে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে বিজেপির একটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। তবে সশরীরে হাজির ছিলেননা তিনি। নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই উদ্বোধন সারেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্বোধন উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য স্তরের সব নেতা। ছিলেন বাংলার দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এদিন উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনির মধ্যে দিয়ে পুজোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিজেপি সাংসদ তথা গায়ক বাবুল সুপ্রিয় একটি রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন।


ইজেডসিসি-তে এই দুর্গাপুজোর দায়িত্বে রয়েছে বিজেপির মহিলা মোর্চা। মহিলারাই যাবতীয় পুজোর উদ্যোগের সামনে রয়েছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখতে শুরু করেন বাংলায়। পরে তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গে এদিনের দুর্গাপুজোয় উপস্থিত থাকতে পেরে মনে হচ্ছে তিনি দিল্লিতে নয় কলকাতায় রয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের কথা এদিন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন বাংলা সারা দেশকে গর্বিত করেছে। বাংলার দুর্গাপুজোর পরম্পরার কথাও বলেন তিনি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলার সাফল্যের কথাও এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জায়গা পায়।


প্রধানমন্ত্রী এদিন জানান অনেকেই হয়তো জানেননা যে ভারতমাতার ছবি নিয়ে সারা দেশ উদ্বেলিত সেই ছবি এঁকেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এদিন বাংলার উন্নয়নে কেন্দ্র কী কী কাজ করেছে তারও একটি তালিকা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সব মিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুজোর এদিনের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে বাংলার আবেগকে সম্মান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছিল রাজ্য বিজেপি। অডিটোরিয়ামে হওয়া এই উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির নেতানেত্রীরা।

ইজেডসিসি-তে বিজেপির দুর্গাপুজোর প্রতিমা একচালার। ডাকের সাজে সাজানো দুর্গা। পুজো মণ্ডপটিও বেশ খোলামেলা। যা করোনা গাইডলাইনের সঙ্গে খাপ খাচ্ছে যথেষ্ট।

খুব বিশাল প্যান্ডেল নয়। ছিমছাম একটা পরিবেশ তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে এখানে। তবে বৃষ্টি কিছুটা হলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাধ সেধেছে। তবে তা সমস্যার কারণ হয়নি। এদিন বিজেপি নেতাদের অধিকাংশেরই পরনে ছিল ধুতি ও পাঞ্জাবী।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button