ভারতের প্রথম সমুদ্র বিমান পরিষেবার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে এই প্রথম চালু হল সি প্লেন বা সমুদ্র বিমান পরিষেবা। প্রথম রুটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজে সফরও করলেন সি প্লেনে।
কেওড়িয়া (গুজরাট) : এর আগেও সি প্লেনে তাঁকে সফর করতে দেখা গিয়েছিল। তবে তা ছিল তাঁর জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত। এবার কিন্তু সাধারণের জন্য চালু হল সি প্লেন পরিষেবা। ভারতে এই প্রথম সাধারণের জন্য এই পরিষেবা চালু হল।
শনিবার ছিল ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লৌহপুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৫ তম জন্মদিবস। গুজরাটে বল্লভভাই প্যাটেলের বিশাল মূর্তি যা স্ট্যাচু অফ ইউনিটি নামে বিখ্যাত, সেই মূর্তির পায়ে জল ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি একটি কুচকাওয়াজে অংশ নেন। এই দিনটিকে সামনে রেখেই শুরু হল ভারতের প্রথম সি প্লেন পরিষেবা।
কেওড়িয়ায় সবরমতী নদী থেকে এদিন ভারতের প্রথম সি প্লেন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উড়ে যায়। জল থেকেই আকাশে উড়ে যায় বিমানটি। ৪৫ মিনিটের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ওই বিমানেই পৌঁছে যান আমেদাবাদে।
সবরমতী নদী থেকে উড়ে ফের সরবমতী নদীর জলেই নামে এই সমুদ্র বিমান। মাঝে অতিক্রম করে ২০০ কিলোমিটার পথ।
স্পাইসজেট সংস্থা এই পরিষেবা চালু করল। প্রধানমন্ত্রী এদিন কেওড়িয়ায় এই পরিষেবার উদ্বোধন করে আমেদাবাদ পৌঁছে সেখানে সবরমতী নদীতে একটি ওয়াটার এরোড্রোমেরও উদ্বোধন করেন।
ভারতের প্রথম সি প্লেন পরিষেবা প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে চালু করল তার পরিষেবা। প্রথম রুটটি হল কেওড়িয়া থেকে আমেদাবাদ।
এই পরিষেবা চালু হওয়ায় দেশের মধ্যে এমনকি অনেক প্রত্যন্ত জায়গাতেও পর্যটকেরা দ্রুত পৌঁছতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের উড়ান প্রকল্পের আওতায় এই পরিষেবা চালু হল। যা অবশ্যই পরিবহণের ক্ষেত্রে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করল এদিন।
সমুদ্র বিমানগুলি নদী, দিঘি, ড্যাম থেকেও উড়তে বা নামতে পারে। ফলে এর ওঠানামার জন্য আলাদা করে বিমানবন্দর তৈরির দরকার পড়ে না। তাতে এর জন্য পরিকাঠামো খরচ কমে।
তবে বিমানগুলি ছোট হয়। ফলে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়েই সফর করতে পারবে এই সি প্লেন। আপাতত পর্যটনে জোর দিতেই এই সমুদ্র বিমান পরিষেবা চালু হল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা