National

কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দিয়ে দেব দীপাবলিতে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

সোমবার কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে এদিন দেব দীপাবলিতেও যোগ দেন তিনি। প্রথম প্রদীপটি প্রজ্বলিত উৎসবের সূচনা করেন।

বারাণসী (উত্তরপ্রদেশ) : প্রধানমন্ত্রী প্রথম দিয়া বা প্রদীপটি জ্বালান। তা দিয়েই হয় দেব দীপাবলি-র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। তারপর বারাণসীর রাজঘাটে গঙ্গার পাড় ধরে জ্বলে ওঠে ১৫ লক্ষ প্রদীপ। সন্ধের অন্ধকারকে ম্লান করে বারাণসীর গঙ্গার পাড় তখন কনের সাজে সেজে ওঠে। সেই সঙ্গে গঙ্গার ঘাট জুড়ে বিভিন্ন স্থাপত্যকে রঙিন আলোর সাজে সাজিয়ে তোলা হয়।

দিয়ার আলো এবং সঙ্গে রঙিন আলোর রোশনাইতে ঝলমল করছিল গঙ্গা পাড়ের বারাণসী। যা গঙ্গাবক্ষে ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রতি বছরই কার্তিক পূর্ণিমায় পালিত হয় দেব দীপাবলি। জ্বলে ওঠে লক্ষ লক্ষ প্রদীপ। প্রদীপের আলোয় সুন্দর হয়ে ওঠে সন্ধের গঙ্গা।


সোমবার দেব দীপাবলিতে যোগ দিতেই প্রধানমন্ত্রী বারাণসী আসেন। তবে তিনি এখানে হাজির হন সকালেই। তারপর যোগ দেন বারাণসীর উন্নয়নমূলক বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধনে। যার মধ্যে একটি এক্সপ্রেসওয়েও রয়েছে।

সেই উদ্বোধন অনুষ্ঠান সেরে প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গঙ্গার ওপর ডোংরি ঘাট থেকে একটি ক্রুজ-এ চড়েন। ভেসে পড়েন গঙ্গাবক্ষে। গঙ্গার ২ পাড়ে তখন বহু মানুষের ভিড়। প্রধানমন্ত্রী হাত নেড়ে তাঁদের অভিনন্দন জানান।


Narendra Modi
ফাইল : নরেন্দ্র মোদী, ছবি – আইএএনএস

প্রধানমন্ত্রী ওই ক্রুজ-এ করেই পৌঁছন ললিতা ঘাটে। সেখান থেকে পৌঁছন কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে। বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। জল ঢালেন বাবা বিশ্বনাথের মাথায়। গর্ভগৃহে তখন চলছিল মন্ত্রোচ্চারণ। আরতিও করেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্দিরে পুজো শেষ করে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন দেব দীপাবলিতে। প্রথম দিয়াটি তিনিই জ্বালান। শুরু হয় বারাণসীর দেব দীপাবলি।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানান, দেব দীপাবলির এই দিনটি এ বছর আরও বিশেষ। কারণ ১০০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া অন্নপূর্ণার মূর্তি এবার ফেরত আসছে দেশে। এই উদ্যোগ আগের সরকার নিতে পারত। কিন্তু তারা তা নেয়নি বলে খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী।

কটাক্ষের সুরেই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁদের কাছে উত্তরাধিকার হল হেরিটেজ। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে উত্তরাধিকার হল পারিবারিক। এক্ষেত্রে তাঁর নাম না করে নিশানা যে গান্ধী পরিবার ছিল তা মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button