নতুন বছরে নতুন অঙ্গীকারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
নতুন বছর আসছে। তার আগে রবিবার ছিল প্রধানমন্ত্রীর এ বছরের শেষ মন কি বাত অনুষ্ঠান। সেখানে নতুন বছরে নতুন অঙ্গীকারের আহ্বান জানালেন তিনি।
নয়াদিল্লি : মাসের শেষ রবিবার মানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন কি বাত। মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান মন কি বাত-এ এদিন নতুন বছরে দেশবাসীকে নতুন অঙ্গীকার করার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
ভোকাল ফর লোকাল, আত্মনির্ভর ভারত-এর পর এবার তিনি দেশবাসীকে দেশিয় জিনিসই কেনার আহ্বান জানালেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি নতুন বছরের শুরুতেই কিছু অঙ্গীকার করেন সকলে। সে বছরে তিনি কী করবেন তা মনে মনে স্থির করেন। সেই অঙ্গীকারে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় সব কিছু দেশিয় কেনার আহ্বান জানান।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও একটি স্লোগান সামনে এনেছেন। ‘জিরো এফেক্ট, জিরো ডিফেক্ট’-এর ডাক দিয়েছেন তিনি। দেশিয় উৎপাদনকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা যেন এমন জিনিস তৈরি করেন যা বিশ্বমানের হয়।
বিশ্বমানের জিনিস ভারতে তৈরি করতে উদ্যোগী হতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। সহজ কথায় গুণগত মানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি সীমান্তে কৃষক অবস্থান ক্রমশ বহরে বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে কৃষকরা সেখানে হাজির হচ্ছেন। কনকনে ঠান্ডায় রাত দিন এক করে সেখানে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই আন্দোলনে পুরোভাগে রয়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে আসা শিখ সম্প্রদায়ের কৃষকরা। তাই তাঁদের শান্ত করতে এর আগেই গুরুদ্বারে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠান থেকে শিখ ধর্মগুরু গুরু গোবিন্দ সিং, গুরু তেগবাহাদুর-এর ত্যাগের কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী যখন এভাবে শিখ সম্প্রদায়কে শান্ত করার চেষ্টা করছেন, তখন কৃষক অবস্থানে ওঠে থালার আওয়াজ। মন কি বাত চলাকালীন অবস্থানরত কৃষকরা হাতে থালা নিয়ে বাজাতে থাকেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর এই চেষ্টার পরও বরফ যে গলেনি তা কৃষকদের আচরণ থেকেই পরিস্কার।
অবশ্য এই থালা বাজানোর সিদ্ধান্ত আগেই হয়ে গিয়েছিল। গত রবিবারই জানা গিয়েছিল যখন প্রধানমন্ত্রী মন কি বাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন তখন অবস্থানরত কৃষকরা থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ জানাবেন। সেটাই হল এদিন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা