এই প্রথম চালক ছাড়াই যাত্রী নিয়ে ছুটল মেট্রো
শুরু হল চালকহীন মেট্রো চলাচল। এই প্রথম ভারতে এই পরিষেবা শুরু হল। সোমবার এই পরিষেবার ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নয়াদিল্লি : মেট্রো এসে দাঁড়াবে। দরজা যেমন খোলে খুলে যাবে। সময় হলে বন্ধ হয়ে যাবে। তার আগে ও পরে হবে ঘোষণা। মেট্রো ছুটবে নিজের গন্তব্যে। কিন্তু যা দেখে যাত্রীরা চমকে যেতে পারেন তা হল চালকের কেবিন। সেখানে কাউকে তাঁরা ট্রেন চালাতে দেখবেন না।
যদিও তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলেই জানাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়াররা। বরং তাঁদের দাবি মানুষ চালকের আসনে থাকলে ভুল হলেও হতে পারে। কিন্তু মেশিন ভুল করেনা।
এমনই এক চালকবিহীন মেট্রো চলাচল শুরু হল ভারতে। এই প্রথম মেট্রো চলল চালক ছাড়াই। যার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দিল্লি মেট্রোর ম্যাজেন্টা লাইনে এই চালকহীন মেট্রো চলাচল শুরু হল এদিন থেকে। ৩৭ কিলোমিটারের এই যাত্রাপথে ট্রেন সব স্টপে দাঁড়াবে। যাত্রী ওঠানামা করবে। সবই হবে। তবে ট্রেনে চালক থাকবেন না।
জনকপুরী ওয়েস্ট থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন পর্যন্ত এই যাত্রাপথে প্রথম দিনে ট্রেন চালক ছাড়াই একদম ঠিকঠাক যাত্রা করেছে। কোনও ভুলত্রুটি ছাড়াই।
একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক ভারতে এই উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা এদিন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। জানান ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের ২৫টি শহরে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। এই মুহুর্তে ১৮টি শহরে মেট্রো চলাচল করছে।
ভারতের প্রথম মেট্রো চলাচল অবশ্য শুরু হয়েছিল এই শহর কলকাতাতেই। অন্যান্য শহরে মাটির তলা দিয়ে মেট্রো চলাচলে অতটা গুরুত্বও দেওয়া হয়নি। বরং মাটির ওপর দিয়ে অনেকটা পথ অতিক্রম করছে মেট্রো।
চালকহীন মেট্রো পরিষেবা ভারতে সোমবার থেকে চালু হয়ে যাওয়াটা অবশ্যই ঐতিহাসিক এক মুহুর্ত। এবার ম্যাজেন্টা লাইনের পর দিল্লির পিঙ্ক লাইনেও একইভাবে চালকহীন মেট্রো পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই পিঙ্ক লাইনেও চালকহীনভাবে মেট্রো চলাচল শুরু করা যাবে বলেই মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ। ভারত ক্রমশ স্মার্ট হওয়ার রাস্তায় হাঁটছে বলেও সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা