National

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন তেরঙ্গার অপমান নিয়ে সরব প্রধানমন্ত্রী

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় কৃষক আন্দোলনের নামে ভারতের জাতীয় পতাকার অপমান দেখেছে গোটা দেশ। তার বিরুদ্ধেই এদিন ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

নয়াদিল্লি : প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি ট্র্যাক্টর মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি।

কৃষকরা লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন। সেখানে যে স্তম্ভে জাতীয় পতাকা লাগানো হয় সেখানে চড়ে তাঁদের ধর্মীয় পতাকা লাগিয়ে দেন। জাতীয় পতাকার অপমান মেনে নিতে পারেনি গোটা দেশ। সমালোচনা আছড়ে পড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে।


নতুন বছরে তাঁর প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠানে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সেই ক্ষোভ উগরে দিলেন। জাতীয় পতাকার অপমান দেশের মানুষকে যন্ত্রণা দিয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন এই বিষয়ে আইন তার নিজের পথে চলবে।

পুরো ঘটনার তদন্ত শুরুও করেছে পুলিশ। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া লালকেল্লার যে অংশে তাণ্ডব চলেছিল তা মেরামতির জন্য ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেই অংশ বন্ধ করে দেয়।


প্রতি মাসের শেষ রবিবার মানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রেডিও অনুষ্ঠান মন কি বাত। ৩১ জানুয়ারি ছিল রবিবার। ফলে এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠান যথাসময়েই হয়।

এদিন মন কি বাত জুড়েই ছিল প্রধানমন্ত্রীর মুখে লালকেল্লা প্রসঙ্গ। এছাড়া তিনি এদিন পদ্ম সম্মানে ভূষিতদের অভিনন্দন জানান। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক জাতীয় সম্মান হল পদ্ম সম্মান। প্রধানত ৩টি ভাগে বিভক্ত এই পদ্ম সম্মান – পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী।

এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কেরালার এক বিশেষভাবে সক্ষম বৃদ্ধের কথা তুলে ধরে তাঁকে কুর্নিশ জানান তাঁর কাজের জন্য। কেরালার কোট্টায়ামের বাসিন্দা এনএস রাজাপ্পান হাঁটতে পারেননা। তবে তিনি স্থানীয় ভেমবানাদ লেকে নৌকা চালান। দাঁড় বেয়ে ওই লেক জুড়ে তাঁর বহু বছর ধরে অবাধ বিচরণ। লেকে নৌকা নিয়ে তিনি একটি কাজ দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন।

লেকটি যাতে প্লাস্টিক দূষণ থেকে মুক্ত থাকে সেজন্য লেকের জলে প্লাস্টিকের বোতল, প্যাকেট বা অন্য কিছু দেখলেই তিনি নৌকায় তুলে নেন। আর এভাবেই স্বচ্ছ রাখেন গোটা লেক। তাঁর এই অবদানকে এদিন কুর্নিশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজাপ্পানের এই কাজ থেকে সকলের প্রেরণা নেওয়া উচিত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button