মেয়েদের বিয়ের বয়স ২১ বছর করার কারণ স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী
মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী।
মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স এখন সরকারিভাবে ১৮ বছর। সেটাই আইন করে ২১ বছর করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। এই সংক্রান্ত বিলও লোকসভায় আনা হয়েছিল। যা গত সোমবারই পাশ হয়ে গেছে। এবার তা রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার অপেক্ষায়।
কিন্তু কেন আচমকা মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর উদ্যোগ নিল কেন্দ্র? এ প্রশ্ন উঠছে। তারই এবার উত্তর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর কারণ তাদের পড়াশোনার পথ পরিস্কার করা। মেয়েরা এখন পড়াশোনা করতে চাইছে। সেখানে তাদের বিয়ে হয়ে গেলে পড়ায় বাধা পড়ে।
সেজন্যই যে তাঁর সরকার মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা এদিন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে প্রায় ৩ লক্ষ মহিলার সমাবেশে খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বিষয়টি পরিস্কার করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদেরও এক হাত নিয়েছেন। এদিন বিরোধীদের খোঁচা দিয়েই তিনি বলেন, মেয়েদের আরও পড়াশোনা করা কারা চাইছে না তা এখন পরিস্কার হয়েছে।
প্রসঙ্গত কংগ্রেস, সিপিএম সহ অনেক বিরোধী দল কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। এদিকে মহিলাদের জন্য নেওয়া বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রকল্পের কথা এদিন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
উত্তরপ্রদেশে সামনেই নির্বাচন। তার আগে মহিলাদের আত্মনির্ভর করা, বিয়ের বয়স বাড়ানর প্রস্তাব নিয়ে উদ্যোগ, সব কিছুকেই ভোটের তাস বলে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
তাঁদের মতে, উত্তরপ্রদেশের গত নির্বাচনে ৩ তালাককে সামনে রেখে মহিলা ভোটকে পাখির চোখ করেছিল বিজেপি। এবার মেয়েদের বিয়ের বয়স ও মহিলাদের বিভিন্ন প্রকল্পকে সামনে রেখে সেই মহিলা ভোটকে সামনে রেখে ভোটের নৌকা পার করাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা