চেনাশোনার দিন শেষ, পঞ্চ সংকল্পে নতুন দিন, প্রধানমন্ত্রীর পাখির চোখ ২০৪৭
দেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সোমবার লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে ২০৪৭-এর লক্ষ্যও স্থির করে দিলেন তিনি।
দেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি হল সোমবার। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকালে লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। যেখানে ৭৫ বছরেই শতবর্ষের সুর বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
২০৪৭ সালের মধ্যে পঞ্চ সংকল্প সাধনের ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীকে ৫টি লক্ষ্য পূরণের দিকে ছুটতে হবে বলে জানান। এই পাঁচ সংকল্প হল, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করা, দাসত্বের সব চিহ্ন মুছে ফেলা, দেশের নিজস্ব ঐতিহ্যের জন্য গর্ব বোধ করা, দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য স্থাপন করা এবং সকলকে নিজের নিজের কর্তব্য পালন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
প্রধানমন্ত্রী এই পঞ্চ সংকল্পের সঙ্গে সঙ্গে এদিন কোথাও সূক্ষ্মভাবে রাজনৈতিক বিষয়ও সামনে আনেন। দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করার ডাক দেন তিনি। জানান তিনি দুর্নীতি মুছতে বধ্য পরিকর।
দেশের কিছু মানুষ বেআইনি অর্থ জমিয়ে রেখেছেন। যার জন্য আমজনতাকে অর্থনৈতিক দিক থেকে কোণঠাসা জীবনযাপন করতে হচ্ছে। কোথাও কি অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ অতি সূক্ষ্মভাবে ছুঁয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে? এমন মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ভারতে আগামী দিনে কেবল যোগ্যতার বিচার হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তিনি পরিবারতন্ত্রকে সব ক্ষেত্র থেকে মুছে দিতে চান। যাতে আগামী প্রজন্ম কেবল যোগ্যতার নিরিখে নিজের জায়গা পেতে পারে।
উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন একসময় খেলাধুলার জগতে বিশ্বমঞ্চে ভারত কিছুই করতে পারত না। কারণ সেখানে যোগ্যতার বিচার হতনা। পরিবারের কারও পরিচিতির হাত ধরে যোগ্যতা না থাকলেও খেলোয়াড়েরা সুযোগ পেতেন দেশের হয়ে খেলতে যাওয়ার।
যার ফলে শূন্য হাতে ফিরতে হত দেশকে। এখন কিন্তু সে ছবি বদলেছে। বলা বাহুল্য কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের সাফল্যের কথা এদিন প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে উঠে এসেছে।
বক্তব্যের শেষে এদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের প্রাদেশিক সাজে আসা কিশোর কিশোরীদের সঙ্গে মিশে যান প্রধানমন্ত্রী। তাদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে লালকেল্লা থেকে বেরিয়ে যান তিনি।