দেশের মানুষের মন তিনি ভালই বোঝেন। তাই যতই কালো টাকা নির্মূল করায় দেশবাসী সব সহ্য করেও তাঁকে বাহবা দিচ্ছেন বলে সামনে দাবি করুননা কেন, খুব ভাল বুঝতে পারছেন দেশের মানুষ রাগছেন। প্রথম দিকে কালো কারবারিদের জব্দ হওয়ার খুশিতে দেশের বহু মানুষ উল্লসিত হলেও যতদিন গড়াচ্ছে ততই তাঁদের অসন্তোষ বাড়ছে। কারণ কালো টাকা সাফাই অভিযানে মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত এবার সরাসরি তাঁদের পকেটে ধাক্কা মারতে শুরু করেছে। ফলে বাড়ছে ক্ষোভ। তাই দেরি না করে অবস্থা কিভাবে দ্রুত সামাল দেওয়া যায় তা স্থির করতে মাঝরাতে মন্ত্রী আধিকারিকদের নিজের বাসভবনে ডেকে পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাজির হলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু, কয়লামন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, অর্থমন্ত্রকের সচিব শক্তিকান্ত দাস ও অর্থমন্ত্রকের অন্যান্য আধিকারিকরা।
বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরে শক্তিকান্ত দাস জানান, এটিএম মেশিনগুলিকে নতুন নোটের জন্য প্রস্তুত করে তোলার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে বলে বৈঠকে স্থির হয়েছে। যার নেতৃত্ব দেবেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর। ব্যাঙ্কের ক্যাশ হোল্ডিং লিমিটও বাড়ানো হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে হোল্ডিং লিমিট। পেট্রোল পাম্প সহ সরকারি বেশ কিছু ক্ষেত্রে পুরনো নোটে টাকা জমা দেওয়ার সময়সীমা ১৪ নভেম্বর থেকে বাড়িয়ে ২৪ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত করা হয়েছে। যাতে মানুষ সহজে টাকা পেতে পারেন সেজন্য বিভিন্ন এলাকায় মাইক্রো এটিএমের বন্দোবস্ত করা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। প্রবীণ ও শারীরিক অক্ষমতার শিকারদের জন্য ব্যাঙ্কে আলাদা লাইনের বন্দোবস্ত করা ও যাঁরা কেবল পুরানো নোট বদল করে নতুন নোট নিতে চান তাঁদের জন্য আলাদা আলাদা লাইন করা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। দেশের প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার পোস্ট অফিসেও টাকার যোগান বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।