
যাঁরা নোট বাতিল নিয়ে হৈচৈ করছেন, তাঁদের যদি ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হত তাহলে তাঁরাই মোদীর মত লোক হয়না বলে বাহবা দিতেন। কারণ ওই সময়ে তাঁরা কালো টাকা সরিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে পারতেন। সেটা হয়নি বলেই কী এত হৈচৈ? এদিন সংসদে সংবিধান দিবসের প্রাক্কালে একটি অনুষ্ঠানে এভাবেই বিরোধীদের বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। সংসদের মধ্যেই কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে সোচ্চার হন।
এদিকে এদিন দেশে দ্রুত ডিজিটাল কারেন্সি চালু করায় জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, পকেটে টাকা নিয়ে ঘোরা কমিয়ে দেশের মানুষকে মোবাইল কাজে লাগিয়ে কেনাকাটার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। দেশে বহু মানুষের হাতেই মোবাইল রয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, মোবাইলের মাধ্যমে কেনাকাটা হোটাসঅ্যাপের মতই সহজ। দেশের একজন নিরক্ষরও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তবে জিনিসপত্র কেনাকাটায় মোবাইলের ব্যবহার করতে পারবেন না কেন? যদিও অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, এ দেশে এখনই ডিজিটাল কারেন্সি চালু করার পরিস্থিতি নেই। বহু মানুষই কার্ড বা মোবাইলের মাধ্যমে জিনিস কিনতে অভ্যস্ত নন। বহু মানুষের হাতে মোবাইলও নেই। থাকলেও তাতে ইন্টারনেট নেই। তাছাড়া অনলাইনে সাইবার ক্রাইমের রমরমার জন্যও বহু মানুষ অনলাইনে টাকা দিতে সংকোচ বোধ করেন। গ্রামের বহু জায়গায় ভাল করে ইন্টারনেট সংযোগই পাওয়া যায়না। এছাড়া যাঁদের সত্যিই অক্ষরজ্ঞান নেই তাঁদের পক্ষে ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহার দুঃসাধ্য।