নোট বাতিলের ঘোষণার পর ৫০ দিন পার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে ৫০ দিন চেয়ে নিয়েছিলেন। ফলে ৫১ তম দিনে তাঁর সেই আশ্বাসবাণীর অবস্থানটা ঠিক কোথায় তা তাঁর মুখ থেকেই শোনার জন্য উদগ্রীব হয়েছিলেন দেশবাসী। কিন্তু সেই কৌতূহল কী সত্যিই পূরণ করতে পারলেন প্রধানমন্ত্রী? কারণ তাঁর বক্তব্যে গ্রামের মানুষ, কৃষক, ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য বেশ কিছু ঘোষণা থাকলেও আদত প্রশ্নগুলো নিয়ে একটা শব্দও কারও কানে এলনা। কালো টাকা কতটা উদ্ধার হল, কবে আমজনতা নোট সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন, দুর্নীতি কতটা মুক্ত করা সম্ভব হল, ব্যাঙ্কের থেকে নিজের টাকা নিজে তোলার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ কবে উঠবে, এধরণের কিছু মূলগত প্রশ্ন কিন্তু এদিন কার্যত এড়িয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। ঘোষণা যা করলেন সেগুলির মধ্যে, ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি ১ কোটি থেকে বাড়িয়ে ২ কোটি টাকা করা। গ্রামে ঘর সংস্কারের জন্য ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণে ৩ শতাংশ সুদে ছাড়। রবিশস্য চাষে ৬০ দিনের কৃষিঋণ মকুব। নববর্ষের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লগ্নির ক্ষেত্রে ৮ শতাংশ সুদ নিশ্চিত করেছেন তিনি। এর বাইরে একগুচ্ছ শুদ্ধিকরণ বার্তাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূল উপজীব্য।